ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সৌম্যর বিদায়ে চতুর্থ উইকেটের পতন

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৭
সৌম্যর বিদায়ে চতুর্থ উইকেটের পতন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ২৮১ রানের টার্গেটে খেলছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ৯০ রানের ইনিংস খেলার পর এই প্রথম ওয়ানডেতে সৌম্যর ব্যাট থেকে রান আসছিল। তবে, চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনিও বিদায় নিয়েছেন।

এ রিপোর্ট লেখা অবধি ১৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান তুলেছে সফরকারীরা। উইকেটে আছেন সাকিব আল হাসান (৪০) এবং মোসাদ্দেক হোসেন (১)।


 
এই ম্যাচ জিতলে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদেরই বিপক্ষে সিরিজ জিতবে মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।

টাইগারদের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। প্রথম ওভারেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তামিম। তবে, নুয়ান কুলাসেকারা ফিরতি ক্যাচ নিয়ে উল্লাস করতে গিয়ে বল ছেড়ে দেন। মাঠের আম্পায়ার আউট না দিলেও টিভি আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। বিতর্ক ছড়িয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম (৪)। দলীয় ১০ রানের মাথায় সাব্বিরও বিদায় নেন। কুলাসেকারার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলটি লাফিয়ে ওঠে। তাতে সাব্বিরের ব্যাটের কাঁনায় বল লেগে উইকেটের পেছনে চান্দিমালের গ্লাভসবন্দি হন শূন্য রান করা সাব্বির।

দলীয় চতুর্থ ওভারে বিদায় নেন মুশফিক (০)। লাকমলের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। দলীয় ১১ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই টপঅর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে লাল-সবুজরা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করে সাকিব-সৌম্য। এই জুটিতে আসে ৭৭ রান। দলীয় ৮৮ রানের মাথায় বিদায় নেন সৌম্য। ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে ফেরেন তিনি। তার ৪৪ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চার আর একটি ছক্কার মার। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৯০ রানের ইনিংস খেলার পর এই প্রথম ওয়ানডেতে সৌম্যর ব্যাট থেকে ত্রিশোর্ধ্ব রান আসে।

কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে ছোটো ছোটো জুটি গড়ে লঙ্কানরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৮০ রান। তাসকিন-মেহেদি একটি করে উইকেট তুলে নেন। তিনটি উইকেট পান মাশরাফি, দুটি পান মোস্তাফিজ। উইকেট পাননি সাকিব, মোসাদ্দেক আর মাহমুদুল্লাহ।

নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের শততম টেস্টে জয়ের পর (১-১ সমতায় টেস্ট সিরিজ শেষ হয়) রাঙ্গিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টাইগারদের ৯০ রানের দাপুটে জয়ের পর আশা করা হচ্ছিল দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই দাপট অব্যাহত রেখে ডাম্বুলা দিয়েই লঙ্কাবধের মহাকাব্য লিখবে বাংলাদেশ। কিন্তু, সেটি হয়নি ক্রিকেটে সব সময়ের অনাহুত অতিথি ‘বৃষ্টি’ বাধায়। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় তৃতীয় ও শেষ ওডিআই এখন সিরিজ নির্ধারণী হয়ে দাঁড়িয়েছে। জিতলে টাইগাররা ২-০ তে সিরিজ নিজেদের করে নেবে। আর হারলে লঙ্কানরা ভাগ বসাবে সিরিজে (১-১)।

স্বাগতিকদের চেয়ে সফরকারীরা এগিয়ে থাকছে শক্তিমত্তা ও অভিজ্ঞতায়, পাশাপাশি সাথে থাকছে টইটুম্বুর আত্মবিশ্বাসও। দেশের মাটিতে চেনা কন্ডিশনে ধারাবাহিকভাবে প্রতিপক্ষদের হারিয়ে আসছে বাংলাদেশ দল। সবশেষ সাতটি হোম সিরিজের ছয়টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। সময় এবার দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও সাফল্য আদায় করা।

বাংলাদেশ একাদশ:
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

শ্রীলঙ্কা একাদশ:
উপুল থারাঙ্গা (অধিনায়ক), দিনেশ চান্দিমাল, আসেলা গুনারত্নে, দানুসকা গুনাথিলাকা, নুয়ান কুলাসেকারার, সুরাঙ্গা লাকমল, কুশল মেন্ডিস, দিলরুয়ান পেরেরা, থিসারা পেরেরা, সেকুজে প্রসন্ন, মিলিন্দা সিরিবর্ধানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ০১ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।