সঙ্গতই বলেছেন সুমন। ওয়ানডে ফরম্যাটে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে লঙ্কানদের দেয়া ২৮১ রানের লক্ষ্যটি কি খুব বেশিই ছিল।
যে কোনো ম্যাচেই এমন লক্ষ্য টপকাতে সাধারণত দায়িত্বটা নিতে হয় টপ অর্ডারদের। বিশেষত ওপেনারদের। তারা নূন্যতম ৫০ রানের একটি সংগ্রহ দিতে পারলেও পরের ব্যাটসম্যানরা দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে অবদান রাখতে পারেন। কিন্তু তা আর হলো কই?
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই পা হরেকিয়েছিলেন তামিম। কুলাসেকারার দারুণ ডেলিভারিটি উইকেটরক্ষক ও প্রথম স্লিপের উদাসীনতায় তিনি বেঁচে যান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। এর এক বল পরেই কুলাসেকারার কাছে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরলেন প্যাভিলনে। তখন তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৪।
মূলত তামিমের আউটের পরেই টাইগারদের দলীয় আত্মবিশ্বাসে লাগলো বাজে এক ধাক্কা। ধারণা করা হচ্ছিল পরের ব্যাটসম্যানরা হয়তো তাদের ধারালো ব্যাটিংয়ে তা সামলে উঠবেন। কিন্তু হল না। এরপর দলীয় ৭ রান যোগ হতে না হতেই ক্রিজ ছাড়লেন সাব্বির (০ রান) ও মুশফিক (০)।
জ্বলে উঠতে পারেননি মিডল অর্ডাররাও। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৭ আর মোসাদ্দেক ফিরলেন ৯ রানে। ফলে একেবারে ব্যাকফুটে চলে গেল মাশরাফি ও তার দল।
দলের হয়ে সাকিব ও মিরাজের না লড়লে হয়তো ২শ রানের নিচেই অলআউট হতে হত টাইগারদের। সাকিবের ৫৪ ও মিরাজের ৫১ রানে ৪৪.৩ ওভারে ২১০ গুটিয়ে গিয়ে ৭০ রানে হেরে গেল টাইগাররা।
সফরকারীদের এমন দৈন্য ব্যাটিংয়ে তাই বেশ হতাশ মনে হল নির্বাচক সুমনকে। ‘খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। শুরুতে তিন উইকেট হারালে যে কোন লক্ষ্যই কঠিন হয়ে যায়। ’
তাও ভাল সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯০ রানের জয় পেয়েছিল মাশরাফিরা। তা না হলে হয়তো সিরিজ হারের গ্লানি নিয়েই দেশে ফিরতে হতো। আর যদি চিত্রটি বিপরীত হতো তাহলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মত ওয়ানডে সিরিজে জয়ের ইতিহাস রচনা করতে পারতো টাইগাররা।
আর সেটা করতে পারলে আসন্ন টোয়েন্টি সিরিজে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েই লঙ্কানদের মোকাবেলা করতে পারতো।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ১ এপ্রিল, ২০১৭
এইচএল/এমএমএস