শিষ্যদের নিয়ে টুর্নামেন্ট সামনে রেখে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন, খেলেছেন বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ। স্বাগতিক হিসেবে মুমিনুল-নাসিররা এগিয়ে ছিল হোম গ্রাউন্ডের বাড়তি সুবিধা নিয়েও।
কিন্তু বিধি বাম। শিরোপা জয়তো হলোই না উল্টো সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে শিষ্যরা ছিটকে গেল টুর্নামেন্ট থেকে, খেলা হয়নি ফাইনালেও। ফলে ভীষণ অসন্তুষ্ট বাবুল, ‘আমাদের ফাইনাল খেলা উচিৎ ছিল। হোম গ্রাউন্ডে খেলা। তাছাড়া আমাদের দলও ভালো ছিল। অনুশীলন ভালো হয়েছে, প্রস্তুতি ম্যাচগুলোও ছেলেরা ভালো খেলেছে। আজমির (আজমির আহমেদ) প্রস্তুতি ম্যাচে খুবই ভালো করেছে কিন্তু টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করেনি। নাজমুল হাসান শান্ত, সাইফ হাসান, সাইফউদ্দিন, আফিফ যারা ভবিষ্যত প্রজন্ম; তাদের কাছ থেকে এই টুর্নামেন্টে আরও আশা ছিল। কিন্তু তারা সে অনুযায়ী খেলতে পারেনি। বাকি যাদের জন্য এই টুর্নামেন্টটা তারাও পারফর্ম করতে পারেনি, তাই আমি অসন্তুষ্ট। ’
সোমবার (৩ এপ্রিল) মিরপুর ক্রিকেট একাডেমিতে গণমাধ্যমকে মিজানুর এমন অসন্তোষের কথা জানান।
সেমিফাইনালে শিষ্যদের হারের কথা জানাতে গিয়ে বাবুল মূলত দায়ী করলেন দলের ব্যাটিংকে। যে উইকেট ছিল তাতে মুমিনুলদের ৩০০ রান করা উচিৎ ছিল বলে মত তার। কিন্তু সেটা হয়নি। ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে স্বাগকিতরা। তবে রান ৩০০ হলে তার দল ফাইনাল খেলতো বলে তিনি মনে করছেন।
মিজানুর জানান, ‘প্রধান কারণই হলো সেমিতে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। শ্রীলঙ্কার সাথে আমরা খুবই বাজে পারফর্ম করেছি। এটা ৩০০ রানের উইকেট ছিল, কিন্তু আমরা খুবই বাজে খেলেছি। আমাদের বিপক্ষে ওদের হ্যাটট্টিক হয়েছে। ব্যাটসম্যানরাও বেশ কিছু আয়েশী শটস খেলেছে। ফলে আমাদের দলীয় সংগ্রহ বড় হয়নি। আর সে কারণেই আমরা হেরে গেছি। তবে হ্যাঁ, আমাদের দলে ট্যালেন্টেড প্লেয়ার ছিল। তাদের মাঠের প্রয়োগটি ভালো ছিল না। ’
উল্লেখ্য, ইমার্জিং এশিয়া কাপের চলতি আসরে ‘বি’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৮ উইকেট ও দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ৮৩ রানে হারালেও তৃতীয় ম্যাচটি পাকিস্তানের সাথে টাই করে উঠে যায় সেমিতে। এরপর সেমিফাইনালে লঙ্কান যুবাদের কাছে ৮ উইকেটের বড় হারে স্বাগতিক হয়েও ছিটকে যায় টুর্নামেন্ট থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ৩ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমআরপি