তবে তাতেও অতৃপ্ত টাইগার যুবাদের হেড কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। কেননা এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছ থেকে তার প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল।
সোমবার (৩ এপ্রিল) মিরপুর একাডেমি ভবনে মিজানুর জানান, ‘নাসির-মুমিনুলের কাছ থেকে আমি আরও বেশি কিছু আশা করেছিলাম। আমাদের চারজন সিনিয়র প্লেয়ারদের মধ্যে তারা অন্যতম, তারা অভিজ্ঞ। মুমিনুল অনেকদিন ধরে জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলছে, নাসিরও দীর্ঘদিন ধরেই খেলছে। চারজনের মধ্যে এই দুজনই ভালো খেলেছে, কিন্তু ফিনিংসটা ভালো হয়নি। ’
টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে নাসিরের অপরাজিত ১০৯ রানে নেপালকে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। সেই ম্যাচে অবশ্য মুমিনুলের ৬১ রানের ইনিংসটি ছিল উল্লেখ করার মতোই। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে নাসির নিস্প্রভ থাকলেও মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে লড়াকু ৭৫ রানের এক ইনিংস। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত টাই হয়। কিন্তু সে ম্যাচেই মুমিনুল আরও ভালো ফিনিশিং দিতে পারলে ম্যাচটিতে জয় সম্ভব ছিল বলে মত বাবুলের।
এই কোচ আরও যোগ করেন, ‘একজন বড় প্লেয়ারের প্রধান কাজ হলো ম্যাচে ভালো ফিনিশিং টানা। ফিনিশার আমাদের দেশে কমই দেখছি। পাকিস্তানের সাথে মুমিনুল ৭৫ করার পর বল টু বল রান দরকার ছিল, কিন্তু পারেনি। ’
তবে এর মাঝেও ইতিবাচক অনেক কিছুই দেখছেন এই স্বাগতিক কোচ, ‘ইতিবাচক কিছু যে একেবারেই নেই সেটা নয়। মুমিনুল এই টুর্নামেন্টে আমাদের দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি রান করা প্লেয়ার। নাসিরও খুব বিপদের সময় নেপালের সাথে সেঞ্চুরি করেছে। সবচেয়ে ভালো বলবো নাইম হাসানকে। অফ স্পিনার, সে অনূর্ধ্ব-১৯ খেলবে। দারুণ সম্ভাবনাময়। আমার মনে হয় যত্ন নিলে ভবিষ্যতে সে আমাদের জাতীয় দলে জায়গা পাবে। ’
ইমার্জিং এশিয়া কাপের এই আসরে চার ম্যাচে ১৫৭ রান করেছেন টাইগার যুবা দলপতি মুমিনুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ৩ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমআরপি