২০ বছর ছুঁতে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা এই তরুণ ম্যাচ শেষে কথা বললেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যাট যেভাবে ‘বন্য’ হয়ে কথা বলেছে, মাঠের বাইরে ঠিক তার বিপরীত আসালঙ্কা।
সেই ক্ষীণ কণ্ঠে যা শোনালেন তা অবশ্যই ‘দুর্দান্ত কথা। ’
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের পর ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপেও বাংলাদেশে দুর্দান্ত খেললেন, বাংলাদেশ কিভাবে আপনার প্রিয় ভেন্যু হয়ে গেল। –এমন প্রশ্নে কিছুটা হেসে এই তরুণের কূটনৈতিক জবাব, ‘আমি লাকি বলতে কিছু বুঝিনা। আমি কঠোর পরিশ্রমেই সবকিছু সম্ভব তা মানি। তবে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের পর এবারও ব্যাট আমার হয়ে কথা বলল। তাই বলতে হয় বাংলাদেশ আমার খুব প্রিয়। ’
ক্রিকেট খেলা কিভাবে শুরু-এমন প্রশ্নে গ্রাম থেকে উঠে আসা উপমহাদেশের অন্য দশটা ছেলের মতোই জবাবটা আসল তার কাছ থেকে। দক্ষিণ শ্রীলঙ্কার এলপিটিয়া শহর থেকে ওঠে আসা ক্রিকেটারের ক্রিকেট শুরু হয়েছিল, টেপ টেনিসে খেলতে খেলতেই।
সেই শুরুর দিকের কথা বললেন এভাবে, ‘আমার বয়স ১০ কি ১১। আমি তখন স্কুলের হয়ে টেপ টেনিসে ক্রিকেট খেলি। পরে উদীয়মান ক্রিকেট খোঁজার একটি ক্যাম্পে সুযোগ পাই। এরপর আমার স্বপ্নের শুরু। পরে অনূর্ধ্ব ১৩ বয়সভিত্তিক দলে সুযোগ পাই। এরপর অনূর্ধ্ব ১৭, ১৯ ও ২৩ দলে দেশের হয়ে নেতৃত্ব দিই। ’
ক্রিকেটে আসার পেছনে প্রেরণা মানেন বাবা-মাকে। তারা উৎসাহ আর সুযোগ না দিলে আমার ক্রিকেটার হওয়া হতো না। আর আমাকে গড়েছেন আমার স্কুল ও বয়সভিত্তিক দলের কোচেরা। তাদের প্রতিও আমি সমান কৃতজ্ঞ।
একটা সময় স্বদেশি কিংবদন্তী কুমার সাঙ্গাকারাকে আদর্শ মেনে গড়ে উঠা এই বাহাতি ব্যাটসম্যান এখন অবশ্য আদর্শ মানেন ভারতের টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক বিরাট কোহেলীকে।
বলেন, ‘আমি ছোটকাল থেকে কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাটিংয়ের বড় ভক্ত। তাকে দেখে গড়ে উঠেছি। তবে এখন ভালো লাগে বিরাট কোহেলিকে। ’
শ্রীলঙ্কান এই তরুণের সযত্নে পুঁষে রাখা স্বপ্নটার নাম কি আর বলার দরকার পড়ে। তবুও বলা যাক সেটি অবশ্যই জাতীয় দলের হয়ে খেলা। এবং অবশ্যই অনেকদিন ধরে পারফর্ম করে টিকে থাকা।
যার নামের সঙ্গে ‘লঙ্কা’ শব্দটি আছে সে শ্রী-লঙ্কার হয়ে না খেলে পারে না?
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৭
টিএইচ/টিসি