ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এবার লঙ্কার মাটিতে টি-টোয়েন্টি জয়ের মিশন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৭
এবার লঙ্কার মাটিতে টি-টোয়েন্টি জয়ের মিশন এবার লঙ্কার মাটিতে টি-টোয়েন্টি জয়ের মিশন মাশরাফিদের/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি জয়টি এসেছিল ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের পঞ্চম ম্যাচে লঙ্কানদের ২৩ রানে হারিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দলটির বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয়োল্লাস করেছিলেন মাশরাফিরা।

এবার মাশরাফিদের মিশন লঙ্কানদের মাটিতেই তাদের হারানো। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে টাইগাররা।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।

স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের আগে হয়তো পরিসংখ্যানে পিছিয়ে থাকবে সফরকারী বাংলাদেশ। কেননা দলটির বিপক্ষে এ পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১টিতে জয়ের শেষ হাসি হেসে তারা মাঠ ছাড়তে পেরেছে। বাকি ৪টি জয়ই লঙ্কানদের থলিতে।

কিন্তু, তাতে কি খুব বেশি কিছু এসে যাবে মাশরাফিদের! হয়তো না। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। মুহূর্তেই বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। পরিসংখ্যানগতভাবে পিছিয়ে থাকলেও টাইগাররা যখন সফরকরী দলটির বিপক্ষে এই ম্যাচে মাঠে নামবে তখন নিশ্চয়ই নিজেদের সেরা খেলাটিই খেলবে, যা ভেঙ্গে দিতে পারে আগের সেই সব পরিসংখ্যান। সেটা না পারার অবশ্য কোন যৌক্তিক কারণও নেই।

কেননা সিরিজের শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে যে বাংলাদেশকে দেখা গেছে তাতে দাপুটে তকমাটি তাদের না দিলেই নয়। টেস্ট সিরিজে ১-১ এ সমতার পর ওয়ানডেতেও ১-১ (দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত) এ সমতা নিয়ে সিরিজ শেষ করেছে সফরকারীরা।  

যদিও শেষ ওয়ানডেতে সফরকারীরা ব্যাটিং দৈন্যতায় ভুগেছেন। সেটাতো একটি দুটি ম্যাচে হতেই পারে। জয় পরাজয় তো খেলারই অংশ।

শেষ ওয়ানডের পরাজয়টি বাদ দিলে শততম টেস্ট ও প্রথম ওয়ানডেতে  যে টাইগারদের দেখা গিয়েছিল সেটা এই ম্যাচেও দেখা গেলে জয়টি খুব বেশি কঠিন হবে না। তাছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ভালো কিছু করতে দলের সবার পারফর্ম করার প্রয়োজনও নেই। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই খেলায় ব্যাটে বলে এক বা দু’জন জ্বলে উঠলেই হয়। মাশরাফিরাও কাল হয়তো তেমন কিছুই করে দেখাবেন।

মাশরাফিরা যখন জ্বলে  উঠবেন তখন লঙ্কানরা নিশ্চয়ই বসে বসে তা দেখবে না। টেস্ট ও ওয়ানডে দু’টির একটিতেও সিরিজ না জিতে মোটামুটি হিংস্র সিংহের মত আছে সফরকারীরা!

তাছাড়া টি-টোয়েন্টিতে তাদের সাম্প্রতিক ফলাফলও দারুণ আশাজাগানিয়া। এবছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে দুই সিরিজেই শক্তিশালী স্বাগতিকদের হারের গ্লানি দিয়ে তবেই দেশে ফিরেছে সফরকারী লঙ্কানরা।

বিদেশের মাটিতে যারা এমন দাপট দেখিয়েছে দেশের মাটিতে কি করবে সে কথাতো বলাই বাহুল্য। এই সিরিজে টাইগারদের জন্য আরও ভয়ের খবর হলো শক্তি বাড়াতে লঙ্কানরা দলে ভিড়িয়েছেন পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে। ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা মালিঙ্গা ফিটনেস সমস্যায় খেলেননি বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে।

কাজেই ক্রিকেট বিশ্ব যে আরেকটি জমজমাট লড়াই দেখতে যাচ্ছে, সে কথা খুব সহজেই বলা যায়। একদিকে টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার দাপট অব্যাহত রাখার লড়াই। আরেকদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের লড়াই। কে সফল হবেন? থারাঙ্গা নাকি মাশরাফি?

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ৪ এপ্রিল, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।