যাই হোক দলের মধ্যে সবসময়ই মাশরাফির দারুণ ভূমিকা থাকে। সেই ভূমিকায় উজ্জ্বীবিত হন সতীর্থরা আর এগিয়ে যায় দেশ।
শুধু মাঠে কেন মাঠের বাইরেও মাশরাফির কাছ থেকে কত ক্রিকেটার কত ধরনের পরামর্শ নেন, উপকার পান সেটা হয়তো গুনে শেষ করা যাবে না। সঙ্গত কারণেই মাশরাফিকে অভিভাবক আখ্যা দিতে এতটুকু কার্পণ্য দেখালেন না মুশফিক। আর আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজগুলোতে তার মতো একজন অভিভাবককে মিস করবেন বলেও জানালেন ‘মুশি’।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কা সফর শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুশফিক গণমাধ্যমকে জানান, ‘উনি শুধু একজন প্লেয়ারই না, একজন অভিভাবকও। মাশরাফি ভাই যে টি-টোয়েন্টি ও ওভারঅল সব ফরমেটে যে অবদান রেখেছেন এটা আসলেই কেউ পূরণ করতে পারবে না। আমরা যারাই ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টি খেলি না কেন, যদি আরও ভালো করতে পারি তাহলে মনে হয় উনিই বেশি খুশি হবেন। ’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও নিজেদের খেলা শততম টেস্ট ম্যাচটি জিতে সফরকারী বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের শক্তিশালী হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছেন একথা বলার আর কোনো অপেক্ষাই নেই।
তাই এদিন গণমাধ্যম কর্মীরা অধিনায়কের কাছে জানতে চাইলেন শততম টেস্ট জয়টি একটি মাইলফলক ছিল কি না? উত্তরে মুশফিক বললেন, ‘অবশ্যই। এ বছর আমাদের বেশিরভাগই অ্যাওয়ে সিরিজ। আমাদের একটা টার্গেট ছিল অ্যাওয়েতে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার। আমরা নিউজিল্যান্ড ও ভারতে ভালো খেলেও ফলাফল আমাদের পক্ষে আসেনি। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য দারুণ পাওয়া। ’
মুশফিক আরও যোগ করেন, ‘শ্রীলঙ্কায় প্রথম টেস্টটি আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তারপরেও আমরা যেভাবে দ্বিতীয় টেস্টে ফিরেছি সেটা অবিশ্বাস্য। কেননা এতটা চাপে দল এর আগে টেস্টে খেলেছে কি না আমার জানা নেই। তারপরেও সিনিয়র ও জুনিয়র প্লেয়াররা যেভাবে এই ম্যাচ জয়ে অবদান রেখেছে সেটা অনেক বড় অর্জন। এটাই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ দিন দিন টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি করছে। তাছাড়া বিশ্ব ক্রিকেটকেও এটা দেখানো দরকার ছিল যে আমরা বাইরে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেটও ভালো খেলতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমআরপি