কিংবদন্তি ইউসুফ জানান, বর্তমান ওয়ানডে দলটির দিকে চেয়ে দেখুন ব্যাটসম্যানরা নিজেদের ব্যাটিং গড় বাড়াতে চেষ্টা করে। দলের প্রয়োজন তাদের কাছে তুচ্ছ।
কিংবদন্তি এই তারকা আরও যোগ করেন, ক্যারিবীয় সফরে স্বাগতিক বোলারদের সমীহ করে খেলেছে আমাদের ব্যাটসম্যানরা। অথচ এই বোলিং অ্যাটাককে খেলা কষ্টকর ছিল না। ডিফেন্সিভ না খেলে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা আক্রমণাত্মক খেলতে পারতো। অথচ তারা নিজেদের ব্যাটিং গড় বাড়ানোর জন্য খেলেছে। আমি বলবো ব্যাটিংয়ের আর্টই সব কিছু নয়। স্বাভাবিক ভঙ্গিতেও অনেক রান তোলা যায়। আমাদের ব্যাটসম্যানরা টিকে থাকার জন্য লড়েছে, এটা দলের জন্য প্রয়োজন ছিল না। বিশেষ করে এই সফরে।
৪২ বছর বয়সী ইউসুফ জানান, আমাদের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তারা দলের জন্য আবেগ দেখাচ্ছে না, দেশপ্রেম নেই বললেই চলে। দেশের জন্য তাদের টান খুব কম। তাদের ফিফটি করার মানসিকতা বেশি, দলকে সহজভাবে জেতানোর মানসিকতায় তারা পিছপা। দলের জয় নিশ্চিত করার চেয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য অপেক্ষা করে। চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশ রান বড় কথা নয়, যদি ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেট ৭৫ এর উপরে ওঠে যায়। এটা দলকে কতটুকু সহায়তা করে তারাই জানে। হাফ-সেঞ্চুরির জন্য ক্রিজে পড়ে থাকা দলের ইনিংসে বাড়তি চাপ তৈরি করে। ’
ব্যাটসম্যানদের প্রতি ভালো খেলার পরামর্শ দিয়ে ইউসুফ জানান, ‘কোনো ব্যাটসম্যানকে দেখিনি ক্যারিবীয়ান সফরে দলকে জেতাতে। কেউ ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলতে পারেনি। তাদের চোখ থাকে কখন একজন স্পিনার বোলিং আক্রমণে আসবে, আর তারা নিজেদের রান বাড়িয়ে নেবে। অথচ যখন কোনো পেসার বল করতে আসছে, ঘণ্টায় ৮৫ মাইল বেগে বল করছে, তখন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে হিমশিম খাচ্ছে। ’
উল্লেখ্য, তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জিতে ১-০ তে লিড নিয়েছিল। কিন্তু, পরের দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ এ সিরিজ নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ১৩ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি