বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে শুরু থেকে নজর কাড়েন সৈয়দ রাসেল। গতি নির্ভর ছিলেন না রাসেল, তবে ছিল নিখুঁত মাপা লাইন ও লেন্থ আর ছিল উইকেটের দু’দিকে সুইং করানোর ক্ষমতা।
মাঝে কোমরের কঠিন ইনজুরিতে পড়েন। তবে সেই ইনজুরি থেকে রেহাই পাবার আগেই যুক্ত হয় বাঁ কাঁধের ইনজুরি। অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজন ছিল মোটা অর্থ। সৈয়দ রাসেলের অস্ত্রোপচারের অর্থ সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
২০১০ সালের জুলাই থেকে জাতীয় দলের বাইরে আছেন রাসেল। ইনজুরির কারণে ক্লাব-ক্রিকেটেও খেলতে পারছেন না। কাঁধের ইনজুরির অস্ত্রোপচার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে করাতে লাগতো প্রায় ৮ লাখ টাকা। অন্যদিকে ভারতের মুম্বাইতে করালে প্রায় চার লাখ। কিন্তু এতো পরিমাণ অর্থ রাসেলের কাছে ছিল না।
এক সময়ের বোলিং জুটি, বন্ধু মাশরাফির কাছে ধার চেয়েছিলেন রাসেল, ‘দোস্ত, আমি তো মাঠের বাইরে আছি বেশ কিছু দিন। হাতে টাকা পয়সাও নেই তেমন। আমাকে লাখ চারেক টাকা ধার দিবি? চিকিৎসা করাবো। ’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে ওঠা মাশরাফির উত্তর ছিল, ‘হ্যাঁ দেবো। তবে ধার নয়, বন্ধুকে ভালোবেসে। এই টাকা শোধ করতে হবে না। ’
পরে মাশরাফির কাছে সেই অর্থ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে যান রাসেল। কিন্তু ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, অস্ত্রোপচার লাগবে না। কিছু ঔষুধেই সেরে যাবে। এরপর দেশে ফিরে আবার নতুন করে মাঠে নামার প্রস্তুতি নেন তিনি। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ক্লাবে নাম লিখিয়ে সেখান থেকে পাওয়া পারিশ্রমিক দিয়ে মাশরাফির কাছ থেকে নেয়া অর্থ শোধ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন রাসেল। মাশরাফি কিছুতেই সেই অর্থ ফেরত নেননি।
এদিকে রাসেলের আশা, ইনজুরি সমস্যা কাটিয়ে দ্রুতই মাঠে নামতে পারবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হয়ে ৬ টেস্টে ১২টি আর ৫২ ওয়ানডেতে ৬১টি উইকেট শিকার করেছেন রাসেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭
এমএমএস