এছাড়া, তিন ফরমেটের সিরিজের উইনিং বোনাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তও আসতে পারে। আরও প্রস্তাব রাখা থাকছে ওয়ানডেতে শীর্ষ তিন দলের কারও বিপক্ষে জিতলে বোনাস দেড় হাজার ডলার থেকে আড়াই হাজার ডলার পাবে ক্রিকেটাররা।
গত মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। জাতীয় দলের প্লেয়ারদের বেতন বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ দল যেভাবে পারফর্ম করছে তাতে তাদের প্রত্যাশা থাকাটা স্বাভাবিক। তাছাড়া আর্থিক বিষয়টি সবাইকে অনুপ্রাণিত করে সেটা যে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন। প্রতি বছরই তাদের বেতন বাড়াতে চেষ্টা করি। বোর্ড সভায় প্লেয়ারদের চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে এবং সেখান থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি আসবে। ’
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় চুক্তিতে থাকা ১৫ ক্রিকেটারের বেতন ও ম্যাচ ফি’সহ অন্যান্য সুবিধাদি বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্লেয়ারদের সবশেষ বেতন বাড়ানো হয়েছিল ২০১৫ সালে। সে বছর তাদের মূল বেতনের চেয়ে ২৫ ভাগ বেশি বাড়ানো হয়েছিল। তবে গত বছর বাড়ানো হয়নি।
বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হবে জাতীয় চুক্তিতে থাকা প্লেয়ারদের নিয়েও। ২০১৫ সালের পর এবারের করা নতুন চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারেন নাসির হোসেন, আরাফাত সানি ও আল আমিন হোসেন। আর যোগ হতে পারেন মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
‘এ+’ শ্রেণির ক্রিকেটারদের মাসিক বেতন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব আছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সুপারিশে। ‘এ’ শ্রেণির বেতন মাসে ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা, ‘বি’ শ্রেণির বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা, ‘সি’ শ্রেণির বেতন ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ‘ডি’ শ্রেণির বেতন ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ।
বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল বোর্ডের বেতনভুক্ত ক্রিকেটাররা নিজেদের বেতন বাড়ানো নিয়ে আক্ষেপে পুড়ছেন। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এমনকি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা যে বেতন পান তার তুলনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তেমন বেশি বেতন পান না। তবে এবার হয়তো সে আক্ষেপ কাটবে টাইগারদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ২২ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি