প্রতিটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগেই ঘটা করে দুই দলের ক্রিকেটার, সাবেক তারকা, বিশ্লেষকদের মধ্যে কথার লড়াই চলে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশ দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরে নিজেদের মিশন শুরু করবে মুখোমুখি লড়াই দিয়ে।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১১ বার মুখোমুখি হয়ে ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। তবে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিসংখ্যানে তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছে পাকিস্তান।
ভারতের সাবেক তারকা ওপেনার ব্যাটসম্যান বিরেন্দর শেওয়াগ জানিয়েছেন, এবারের টুর্নামেন্টে ভারতই সেরা। আর নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে এক রকম উড়িয়েই দেবে কোহলির দল।
থেমে নেই পাকিস্তানের গতিতারকা শোয়েব আখতার। বোলিংয়ে বরাবরই ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে কাঁপন ধরানো শোয়েব প্রতিউত্তর দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, পাকিস্তানকে সত্যিই ভালো খেলতে হবে। ঠিক ওদের যেমন কোহলি খেলে থাকে। অথবা কোহলির থেকে অর্ধেক খেলে দিলেও হবে! আমরাই তাহলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বো। ’
শোয়েব আরও যোগ করেন, ‘যদি আমরা প্রতি বলে রান করতে পারি কিংবা পুরো ৫০ ওভার বল করে ৪-৫ রান ইকোনমি ধরে রাখতে পারি, তাহলেও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা কোনো সমস্যা হবে না। কারণ এবারের টুর্নামেন্টে অন্যসব দলের থেকে পাকিস্তানের বোলিং ডিপার্টমেন্ট অনেকটাই এগিয়ে। দলে মোহাম্মদ আমিরের মতো দুর্দান্ত পেসার রয়েছে। অন্য বোলাররাও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। ’
আইসিসির মেগা ইভেন্টগুলোর গত কয়েকটি আসরেই মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসরেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দেশ। সেবার পাকিস্তানকে হারায় ভারত। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের আসরেও পাকিস্তানকে হারায় ভারত। টিম ইন্ডিয়ার কাছে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে ম্যাচেও হেরেছিল পাকিস্তান। আইসিসি স্বীকৃত বৈশ্বিক আসরে ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইনজামামের নেতৃত্বে বার্মিংহামের এজবাস্টনে ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একই মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ০২ জুন ২০১৭
এমআরপি
