কিন্তু ওয়ানডেতে সাকিব সর্বশেষ কবে ৮০ রানের ইনিংস খেলেছেন সেটা বের করতে হলে হয়তো বেশ ঝক্কিই পোহাতে হবে। আমি যদি ভুল না করি সাকিব সর্বশেষ এবছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭২ রান করেছিলেন।
ওই শেষ এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও দুটি ওয়ানডে গেল, আয়ারল্যান্ড সিরিজ গেল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের পর শেষ হয়ে গেল প্রথম ম্যাচটিও কিন্তু সাকিব কোথায়?
সাকিবের সর্বশেষ ১০ ম্যাচের ক্ষের খাতা বের করলে দেখা যাবে তার সর্বোচ্চ রান ৪৪, যা তিনি সংগ্রহ করেছিলেন ১০ মে, বেলফাস্টে, আয়ারল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে।
আর তার সর্বশেষ একটি উইকেট তিনি থলিতে পুরেছিলেন গত ২৭ মে বার্মিংহামে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে। বল হাতে সাকিব সর্বশেষ ৪ উইকেট শিকার করেছেন মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে।
সাকিবের মত সিনিয়র, অভিজ্ঞ ও দক্ষ ক্রিকেটারের কাছে এদেশের ক্রিকেটের চাওয়া কি এতটাই কম? বাংলাদেশ দলে এই মুহুর্তে যে সংকট চলছে তাতে সাকিবের কি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত নয়?
কষ্ট হচ্ছিল যখন দেখছিলাম চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এক মোস্তাফিজে নির্ভর করে বাংলাদেশ খেলছিল। এটা সবাই বোঝে যে এমন উইকেটে একজন বোলার নিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না। কেননা ব্যাটসম্যানেরা যখন সেট হয় তখন তারা সবাইকে মারবে এটাই স্বাভাবিক। অবশেষে সেটাই হল, টাইগারদের এক্সট্রাঅর্ডিনারি বোলিংয়ের অভাবে ৩০৬ রানের লক্ষ্যে ইংলিশরা অনায়াসে টপকে গেল।
মোস্তাফিজ মার খেলেন। সাকিবও জ্বলে উঠতে পারলেন না। রুবেল যা একটু আটকে রেখেছিলেন। আর সেদিন প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেট পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজকেতো বলই দেওয়া হল না।
তাহলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলারটি কে? অধিনায়ক মাশরাফি প্রথমেই উইকেট নিয়ে একটি দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন, ঠিক আছে। এরপর অনিয়মিত বোলার হিসেবে সাব্বির রহমান একটি উইকেট নিলেন।
দলের ঠিক ওই মুহুর্তে সাকিবের জ্বলে উঠা অপরিহার্য ছিল। কিন্তু তিনি পারলেন না। তিনি আর কবে পারবেন সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। তাই যদি হয়, তাহলে তার বিকল্প খুঁজে বের করার সময় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের এসে গেছে।
স্থানীয় সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ১ জুন ২০১৭
এইচএল/এনটি