হাইওয়ে থেকে বেশ দূরে লন্ডনের বিস্তীর্ণ সবুজ শস্যক্ষেত উইন্ডমিলগুলোর দিকে আপনাকে একবার হলেও তাকাতেই হবে। কেননা ফার্ম হাউজগুলোর মধ্যে ওরা বেশ সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
খুব বেশি জোরে নয়, আস্তে আস্তে উইন্ডমিলের ব্লেডগুলো ঘুরছে। সেটা দেখে আপনার মন অজানা এক ভাল লাগায় ভরে উঠবে। সবুজ মাঠে সাদা রঙের সারিবদ্ধ উইন্ডমিলের ভাল লাগায় আপনি কখন হারিয়ে যাবেন তা বুঝতে পাবেন না। সম্বিত ফিরে পেতেই দেখবেন দূর থেকে ওরা খুব কাছে চলে এসেছে, যেন ঠিক আপনার মাথার উপর। তখন আবার তার প্রকাণ্ডটা দেখে ভয় পেয়ে যাবেন। এত বিশাল!
এমন ভীতি, ও ভাললাগার এক দারুণ অনুভূতি নিয়ে আপনি লন্ডনের পথে চলতে থাকবেন।
ফার্ম হাউজে উইন্ডমিলগুলো সাধারণ দুইটি উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয়। প্রথমত ফার্মের পানি সেচ। আর দ্বিতীয়ত শক্তি উৎপাদন। এখানেও তাই। একেতো ফার্মের পানিসেচের কাজ চলছে। আর দুইয়ে এখান থেকে উৎপাদিত হচ্ছে বিদ্যুৎ।
লণ্ডনের ফার্ম হাউজগুলোও দেখার মতো। হাইওয়ে ধরে গেলে দেখবেন, একরের পর এক জায়গা নিয়ে করা ফার্মহাউজগুলোতে হরেক রকমের শস্যের সমাহার। সেই শস্য ক্ষেতে আবার চরে বেড়াচ্ছে ভেড়া ও গরুর পাল। পাল ধরে একে অপরের সঙ্গে ওরা বেশ মিলেমিশে ঘাস খাচ্ছে। ঘাস খাওয়া অবস্থায়ই খামারিরা আবার ভেড়ার গা থেকে লোম সংগ্রহ করছেন। ভেড়া গুলোও কিছু বলছে না। যেন খামারির জন্য ওরা নিবেদিত প্রাণ।
কখনও দেখা যাবে সেই ফার্ম হাউজ থেকে বেরিয়ে আসছে বেশ প্রকাণ্ড এক একটি ভ্যান। ফার্ম থেকে সংগ্রহ করা শস্য সেই ভ্যানে বয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে ইংল্যান্ডের শহরগুলোতে। কখনও বা সেই ভ্যান ফার্মের গাভীর দুধ বহন করছে যা দিনের পর দিন এখানকার মানুষের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।
ফার্ম হাউজ ও উইন্ডমিলের এমন মেলবন্ধন দেখতে দেখতে আপনি একসময় হাজির হবেন লন্ডন শহরে। আর আপনার মনের ভেতর বারবারই উঁকি দিতে থাকবে পেছনে ফেলে আসা সেই উইন্ডমিল ও ফার্মহাউজের অপার ভালো লাগা।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৩ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
এইচএল/এনটি