১১ বছর আগের সেই স্মৃতিটিই ফিরে আসছে মিরপুর টেস্টে। তিনশোর্ধ্ব না হলেও ২৬৫ এই উইকেটে নিছক কম না।
তাই জয়ের আশায় বুক বাধতেই পারে ক্ষুদ্র এই ব-দ্বীপের ক্রিকেটপ্রেমীরা। প্রেরণা হিসেবে এই ক্ষেত্রে টনিক হিসেবে কাজ করতে পারে গত বছর অক্টোবের ইংল্যান্ডকে ছুঁড়ে দেয়া ২৭৩ রানের সেই লক্ষ্যটি। যা টপকাতে গিয়ে ১০৮ রানের বড় হার মেনে নিতে হয়েছিল অ্যালিস্টার কুকদের।
বাংলাদেশের যুগান্তকারী জয়ের ওই টেস্টে প্রভাব বিস্তার করেছিল স্পিন। দু’দলের ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩২টিই নিয়েছিলেন স্পিনাররা। এই টেস্টেও ৩০ উইকেটের ২৬টি নিয়েছেন স্পিনাররা।
সন্দেহ নেই দু’দলের স্পিন আক্রমণই শক্তিশালী। কিন্তু ঘরের মাঠের বাড়তি সুবিধা নিয়ে এগিয়ে স্বাগতিক শিবির। প্রথম ইনিংসে তার প্রমাণ দিয়েছেন টাইগার ত্রয়ী সাকিব, মিরাজ ও তাইজুল। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে দ্বিতীয় ইনিংসেও।
তৃতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা অজি ওপেনার ম্যাট রেনশকে ব্যক্তিগত ৫ রানে ফিরিয়ে গ্যালারিতে উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন প্রথথ ইনিংসে প্রথম আঘাত হানা সেই মিরাজ। স্মিথদের দলীয় রান তখন ২৭। এরপর দলের সাথে ১ রান যোগ না করতেই ব্যক্তিগত ১ রানে সাকিবের শিকার হয়ে ফেরেন ওসমান খাজা।
মিরপুরের স্পিনবান্ধব এই উইকেটে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে অজিদের দুশ্চিন্তা। উল্টোদিকে টাইগার শিবিরে বাড়ছে অপেক্ষা। এই অপেক্ষা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের, যার জন্য একে একে গড়িয়েছে প্রায় এক যুগ। রিকি পন্টিংদের বিপক্ষে যে কাজটি হাবিবুল কাশার সুমনরা ওই বছর করে দেখাতে পারেননি সেই কাজটির পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে মুশফিকুর রহিম ও তার দল। এখন শুধু শেষ প্রলেপ দেয়ার পালা।
পারবেন তো সাকিব, মিরাজরা। পারবেন নিশ্চয়ই। এতদিন পেরেইতো দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরএম