এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজিদের সংগ্রহ ৩৮.১ ওভার শেষে দুই উইকেটে ১৪৩। ওয়ার্নার ১০১ ও স্টিভেন স্মিথ ২৯ রানে ব্যাট করছেন।
দুই উইকেটে ১০২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে সফরকারীরা। টার্গেট ২৬৫। নতুন জীবন পেয়ে উইকেটে থিতু হয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্মিথ। ২৮ রানে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাঠ ছাড়েন দু’জন। ওয়ার্নার ৭৫ ও স্মিথ ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
কিন্তু, দৃশ্যপটটা অন্যরকমও হতে পারতো। ম্যাচ জয়ের ভিত পেয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। ওয়ার্নার ১৪ ও স্মিথ ব্যক্তিগত ৩ রানের মাথায় আউটের হাত থেকে বেঁচে যান। সাকিব আল হাসানের বলে কাট করতে গিয়ে ওয়ার্নার স্লিপে ক্যাচ দিলেও মিস করেন বলের লাইন থেকে সরে যাওয়া সৌম্য সরকার।
স্ট্যাম্পিংয়ে থার্ড আম্পায়ার রিপ্লেতে অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া স্মিথ আবারো ভাগ্যের সহায়তা পান। মেহেদি হাসান মিরাজের বল তার ব্যাটে লেগে শর্ট লেগে দাঁড়ানো সাব্বির রহমানের তালুতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু অহেতুক লাফিয়ে ওঠায় ক্যাচবন্দি করতে পারেননি।
সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে চাপের মুখেই পড়তো অজিরা। আরও কয়েকটি উইকেট পড়ার সম্ভাবনা জোরালো হতো। ম্যাচ চলে যেত পরিষ্কারভাবে স্বাগতিক শিবিরের দখলে। এখন চতুর্থ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষায় দর্শকরা।
অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ২৭ রানের মাথায় আগের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান (৪৫) সংগ্রাহক ওপেনার ম্যাট রেনশকে (৫) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ১ রান যোগ হতেই উসমান খাজাকে তাইজুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। দুই ইনিংসেই (৭১ ও ৭৮) সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড থাকায় অজিদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৬৫। তামিম ও সাকিবের (৮৪) ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৬০ রানের জবাবে তারা ২১৭ রানে গুটিয়ে যায়। ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো সাকিব একাই তুলে নেন পাঁচটি উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম