ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে জয়ের পথ দেখাচ্ছেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে জয়ের পথ দেখাচ্ছেন সাকিব ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (৫) বোল্ড করে দুই ইনিংসেই পাঁচ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের ঘূর্ণিতে আট উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। এখনো ৫৯ রান দূরে সফরকারীরা।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজিদের সংগ্রহ ৫৯ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২০৬। প্যাট কামিন্স ৩ ও নাথান লায়ন ৬ রানে ব্যাট করছেন।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় অজিরা। বুধবার (৩০ আগস্ট) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে স্মিথ-ওয়ার্নার জুটি (১৩০) ভেঙে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব। ডেভিড ওয়ার্নারকে (১১২) এলডিব্লুর ফাঁদে ফেলে স্বস্তি ফেরান বাংলাদেশ শিবিরে। সাকিবের ঘূর্ণিতে স্টিভেন স্মিথও (৩৭) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পড়েন অজি অধিনায়ক।

পিটার হ্যান্ডসকম্বকে (১৫) ফিরিয়ে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান তাইজুল ইসলাম। স্লিপে প্রথম চান্সে ক্যাচ মিস করলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় শূন্যে থাকা বল তালুবন্দি করে সতীর্থ উদযাপনের মধ্যমণি বনে যান সৌম্য সরকার। এরপর অজি ব্যাটিং লাইনআপে আবারো সাকিবের আঘাত। এলবিডব্লু হয়ে তার চতুর্থ শিকারে পরিণত হন ম্যাথু ওয়েড (৪)।

এর আগে দুই উইকেটে ১০২ রান নিয়ে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে সফরকারীরা। টার্গেট ২৬৫। নতুন জীবন পেয়ে উইকেটে থিতু হয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্মিথ। ২৮ রানে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাঠ ছাড়েন দু’জন। ওয়ার্নার ৭৫ ও স্মিথ ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

কিন্তু, তৃতীয় দিনের দৃশ্যপটটা অন্যরকমও হতে পারতো। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়ের ভিত পেয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। ওয়ার্নার ১৪ ও স্মিথ ব্যক্তিগত ৩ রানের মাথায় আউটের হাত থেকে বেঁচে যান। সাকিবের বলে কাট করতে গিয়ে ওয়ার্নার স্লিপে ক্যাচ দিলেও মিস করেন বলের লাইন থেকে সরে যাওয়া সৌম্য।

স্ট্যাম্পিংয়ে থার্ড আম্পায়ার রিপ্লেতে অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া স্মিথ আবারো ভাগ্যের সহায়তা পান। মেহেদি হাসান মিরাজের বল তার ব্যাটে লেগে শর্ট লেগে দাঁড়ানো সাব্বির রহমানের তালুতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু অহেতুক লাফিয়ে ওঠায় ক্যাচবন্দি করতে পারেননি। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে চাপের মুখেই পড়তো অজিরা।

অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ২৭ রানের মাথায় আগের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান (৪৫) সংগ্রাহক ওপেনার ম্যাট রেনশকে (৫) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ১ রান যোগ হতেই উসমান খাজাকে ‍তাইজুল ইসলামের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব।

এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। দুই ইনিংসেই (৭১ ও ৭৮) সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড থাকায় অজিদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৬৫। তামিম ও সাকিবের (৮৪) ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৬০ রানের জবাবে তারা ২১৭ রানে গুটিয়ে যায়। ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো সাকিব একাই তুলে নেন পাঁচটি উইকেট।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।