স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে ১-১ এ সমতা নিয়েছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপরও আইসিসির র্যাংকিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে টেস্টে টাইগাররা আট নম্বরে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে।
যেকোনো ব্যবধানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ জিতলেই র্যাংকিংয়ে নয় নম্বর থেকে লাফ দিয়ে উঠে আসবে আট নম্বরে। সেক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যেকোনো ব্যবধানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারতে হবে। উড়ন্ত অবস্থায় থাকা ইংলিশরা পরের দুই ম্যাচে জয় পেলেই চলবে। সেক্ষেত্রে টাইগারদের এবার বড় সুযোগ টেস্টে আট নম্বর দল হওয়ার।
আসুন দেখে নেওয়া যাক দুই সিরিজে চার দলের অবস্থান কি দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ যদি অস্ট্রেলিয়াকে ১-০ ব্যবধানে হারায় তাতে টাইগারদের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়াবে ৭৯, একধাপ নিচে নেমে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান হবে পাঁচ নম্বরে, রেটিং দাঁড়াবে ৯৪ পয়েন্ট। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাশে রেখে (তাদের সিরিজের ফলাফল না ধরলে) বাংলাদেশ যদি অস্ট্রেলিয়াকে দুই ম্যাচেই হারিয়ে দেয়, তাহলে অজিদের অবস্থান গিয়ে দাঁড়াবে সাত নম্বরে, রেটিং পয়েন্ট হবে ৯২। আর টাইগারদের আট নম্বরে থেকে রেটিং পয়েন্ট হবে ৮১। অস্ট্রেলিয়া হোয়াইটওয়াশ হলে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা উপরে উঠে যাবে।
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ফল না টেনে টাইগারদের কমপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জিততেই হবে আর ইংল্যান্ডকে যেকোনো ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে হবে। তবে, বাংলাদেশ সিরিজটি জিতে গেলেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। এরপরও যদি টাইগারপ্রেমীদের মনে স্বস্তি না আসে তাদের জন্য জানিয়ে রাখা ভালো সেপ্টেম্বরেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। সেখানেও সুযোগ থাকছে এক সময়ের ত্রাস ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে যাবার।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া একধাপ নেমে পাঁচ নম্বরে, বাংলাদেশ পূর্বের অবস্থানেই (আট নম্বরে)। টাইগারদের রেটিং বেড়েছে, কমেছে অজিদের। ৯৪ রেটিং নিয়ে স্টিভ স্মিথের দল এখন ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের নিচে। টাইগাররা জেতায় নিউজিল্যান্ড ৯৭ রেটিং নিয়ে চার নম্বরে চলে গেছে। ঢাকা টেস্টের আগে অজিদের রেটিং ছিল ১০০, অবস্থান ছিল চার নম্বরে।
এদিকে, বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট জেতায় দুই দলের মাঝে মাত্রই ৩ রেটিংয়ের ব্যবধান। ক্যারিবীয়ানদের বর্তমান রেটিং ৮২ আর টাইগারদের ৭৯। দুই দলই রেটিংয়ে উন্নতি করেছে। ঢাকা টেস্টের আগে বাংলাদেশের রেটিং ছিল ৬৯ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং ছিল ৭৫।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৭ ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি