অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৬ সালে টেস্ট সিরিজে খেলেছিলেন মাশরাফি। সেই সিরিজে ফতুল্লার হার নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই তার।
টেস্ট ক্রিকেটের ‘অভিজাত দল’ অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র সাড়ে তিন দিনের মাথায় হারিয়ে দেওয়ায় অভিনন্দন আর শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য মাধ্যমেও বইছে টাইগার ক্রিকেট বন্দনা। এক সময় বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে যারা সমালোচনায় মুখর ছিলেন, তারাও ভিড়ে গেছেন অভিনন্দন জানানো তারকাদের কাতারে।
৮ বছর হলো নিজে থেকে টেস্ট দলের বাইরে মাশরাফি। তবে মুশফিক-তামিম-সাকিবরা সাদা পোশাকে মাঠে নামলেই হাজির হন সতীর্থদের পাশে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক নেট প্রাকটিসেও লাল বল নিয়ে নেমে পড়েন টেস্ট স্কোয়াডে থাকা টাইগারদের সহায়তায়।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ম্যাশ যা লিখেছেন তার বাংলা দাঁড়ায়, ‘তামিম, তুমি অসাধারণ, সম্ভবত বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার। তাইজুল বোলিংয়ে দারুণ একজন সঙ্গী। মিরাজও অসাধারণ। মুশফিকুর রহিম কম ভূমিকা রাখলেও তার ক্যাপ্টেন্সি অনেক পরিপক্ক। বাকিরা মাঠে দারুণ সমর্থন দিয়েছে দলকে। ’তামিম-তাইজুল-মিরাজ-মুশফিকের কথা লিখলেও সাকিবকে ভুলে যাননি দেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি। দুই ইনিংসে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা সাকিবের প্রসঙ্গে ম্যাশ লিখেছেন, ‘সাকিব আল হাসান, জীবন্ত কিংবদন্তি। তুমি যখন লড়াই করো, আর কেউই তোমার মতো লড়তে জানে না। বন্ধু, তোমার জন্মই ২২ গজের জন্য। জয় বাংলা ও সবাইকে ঈদ মোবারক। ’
মিরপুরে ২০ রানের রোমাঞ্চকর জয় দিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে সাকিব-মুশফিক-তামিমরা। অজিদের বিপক্ষে এটি টাইগারদের প্রথম টেস্ট জয়। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট ২০১৭
এমআরপি