স্বল্প রানে জুটির পর সৌম্য সরকারকে ৩৩ রানে একই কায়দায় সাজঘরে ফেরালেন। এবং লাঞ্চ বিরতির পর আবার সেই এলবিডব্লিউতেই ৩১ রানে ফেরালেন থিতু হয়ে যাওয়া মুমিনুল হককে।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে এর আগে দেখা গেছে ৬ বার, তাও সবাই বাহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু সেই চার উইকেট একই বোলার পাননি। এমন বিরল রেকর্ড গড়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসিত অজিদের ২৯ বছর বয়সী অফস্পিনার নাথান লিয়ন। ‘খুবই ভাল লাগছে। টানা চার উইকেট, তাও আবার টপ অর্ডারের। আগে কখনও হয়নি। ’
সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন উচ্ছ্বাস দেখান তিনি।
টেস্ট ক্রিকেট প্রথম চার ব্যাটসম্যানের এলবিডব্লিউর ঘটনা প্রথম ঘটেছিল ১৯৯৯ সালে ব্রিজটাউনে। ক্যারিবীয়দের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের তিনজনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছিলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। আর একজনকে পেয়েছিলেন জেসন গিলেস্ফি।
পরেরটি ২০০১ সালে বুলাওয়েতে। জিম্বাবুয়ের প্রথম ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউ করে ক্রিজ ছাড়া করেছিলেন ক্যারিবীয় কলিন স্টুয়ার্ট। অপরটি একটি নিল ম্যাকগ্যারেল।
এর দুই বছর পর সিডনিতে ইংশিলদের তিন ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউ করেছিলেন অ্যান্ডি ক্যাডিক। অপরজনকে ম্যাথু হগার্ড। ২০০৪ সালে ক্যান্ডিতে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারদের এমন নাকানি চুবানি খাইয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
টানা চার উইকেটের সবশেষ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালে পোর্ট অব স্পেনে। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম চারজনকেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফিরিয়েছিল।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৫৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। যা করতে গিয়ে হারাতে হয়েছে ৬ উইকেট। তাই এদিন সংবাদ সম্মেলনে লিয়নের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল দিন শেষে কারা এগিয়ে? এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশলী উত্তর দিলেন এই অজি অফস্পিনার।
‘বাংলাদেশ ভাল খেলেছে। সাব্বির ও মুশফিকের ১০৫ রানের জুটি ওদের ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছে। তাই ওদের ক্রেডিট দিতেই হবে। আবার দিন শেষে আমাদের বোলারদের নিয়েও আমি গর্বিত। কেননা তারা ৯০ ওভার পর্যন্ত লড়ে গেছে। আমি আগেও বলেছি এমন কন্ডিশন কখনও দেখিনি। উইকেট বাউন্সি না আবার স্পিন বান্ধবও না। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭
এইচএল/এসএইচ