এর আগে ভারী বৃষ্টির কারণে তিন ঘণ্টারও অধিক সময় শুরু হয় চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩০৫ রানের জবাবে চালকের আসনে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করার লক্ষ্যে চোখ রাখছেন সাকিব-মিরাজ-তাইজুলরা।
এ রিপোর্ট লেখা অবধি অজিদের সংগ্রহ ৭৫ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৫০। ওয়ার্নার ৯৯ রানে ব্যাট করছেন। অপর প্রান্তে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। নতুন করে আর বৃষ্টি না হলে কমপক্ষে ৬৭ ওভারের খেলা হবে। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের ৩০৫ রানের জবাবে আর মাত্র ৮০ রানে পিছিয়ে অজিরা। হাতে ৮ উইকেট। ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরির পথে দু’বার নতুন জীবন পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার। তাকে যোগ্য সঙ্গই দিচ্ছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব।
দুই উইকেটে ২২৫ রান (৬৪ ওভার) নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে সিরিজে সমতায় ফিরতে মরিয়া সফরকারীরা। ১২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ওয়ার্নার ৮৮ ও হ্যান্ডসকম্ব ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারার মাশুলই গুনতে হয়েছে টাইগারদের। দু’বার (৫২ ও ৭৩ রানে) আউটের হাত থেকে বেঁচে যান ওয়ার্নার। তাইজুল ইসলামের বলে লেগশর্টে ক্যাচ ফেলে দেন মুমিনুল হক। পরে আবারো ভাগ্যের সহায়তা পান অজি ওপেনার। মেহেদি হাসান মিরাজকে বেশ এগিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করলেও সহজতম স্ট্যাম্পিং করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। বলের লাইনটাই বুঝে উঠতে পারেননি। খানিকটা নিচু হয়ে আসা ডেলিভারি তার কিপিং প্যাডে গিয়ে লাগে।
শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ঢাকা টেস্টে উইকেটশূন্য মোস্তাফিজুর রহমান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান ম্যাট রেনশকে (৪)। এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ উপহার দেন মুশফিক। কিন্তু দলীয় ৫ রানে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে জুটি গড়ে দলকে পথ দেখান ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। স্মিথকে (৫৮) বোল্ড করে দু’জনের ৯৩ রানের পার্টনারশিপ ভেঙে মূল্যবান ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল।
স্মিথ ফিরলেও অজিদের ব্যাটিং লাইনআপে আঘাত হানতে পারেননি সাকিব-মিরাজরা। মুমিনুলের ক্যাচ মিস ও মুশফিকের স্ট্যাম্পিং ব্যর্থতা দ্বিতীয় দিনে টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় অজিদের হাতে।
এর আগে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩০৫ রান তোলে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শুরতে মুশফিক (৬৮) দ্রুত আউট না হলে প্রথম ইনিংসের সংগ্রহটা আরও হতে পারতো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সাব্বির রহমান। শেষদিকে নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৪৫। সৌম্য সরকার ৩৩, মুমিনুল ৩১ ও সাকিব ২৪ রান করেন। ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসেই অর্ধশতক হাঁকানো তামিম ইকবাল হোম গ্রাউন্ডে ৯ রানে আউট হয়ে যান।
একাই সাতটি উইকেট দখল করেন অফস্পিনার নাথান লায়ন। বাকি দু’টি নেন আরেক স্পিনার স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগার। রানআউট হন মিরাজ (১১)।
অজিদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ স্বাগতিক শিবির। ঢাকায় অনুষ্ঠিত মিরপুর টেস্টে ২০ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে লিড নেয় টাইগাররা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আরেকটি ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখছে মুশফিকের দল। সেই লক্ষ্যে তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এমআরএম