এতদ সংক্রান্ত আলোচনায় বিশেষ করে বারবারই সামনে উঠে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন। প্রোটিয়া বোলারদের সামনে সফরকারী বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কতটুকু টিকে থাকতে পারবে, পেস বোলাররাই বা বাউন্সি উইকেটের সুযোগ কতটুকু কাজে লাগাতে পারবেন?
তবে অন্য যে যাই ভাবুক না কেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টায় থাকা পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি এমন কোনো কিছুই ভাবতে চাইছন না।
আর এক্ষেত্রে রাব্বিকে আশা দেখাচ্ছে এ বছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিব ও মুশফিকের ধারালো ব্যাটিং, ‘হয়েতো উইকেট আলাদা, বাউন্সি। কিন্তু এই বাউন্সি উইকেটেই নিউজিল্যান্ডে সাকিব ভাই ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন (২১৭), মুশফিক ভাই দেড়শো (১৫৯) করেছেন। নিউনিউজিল্যান্ডের সাথে হয়তো আমাদের ফলাফল হয়নি। তবে আমরা লড়েছি। ’
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মিরপুর ইনডোরে প্রাত্যহিক অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি একথা বলেন।
পেস বোলিং আক্রমণে দক্ষিণ আফ্রিকা বরাবরই দাপুটে। শন পোলক, অ্যালান ডোনাল্ড, মাখায়া এনটিনিদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে এখন যারা আছেন; মরনে মরকেল, কাগিসো রাবাদা, ভারনন ফিল্যান্ডার তারাও কম যান না।
সংগত কারণেই রাব্বির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এই সিরিজে পেস বোলিং বিভাগে স্বাগতিকদের চেয়ে সফরকারীরা কতটুকু পিছিয়ে? উত্তরটি রাব্বি দিলেন এভাবে, ‘পেস বোলারদের দল হিসেবে আমরা দিন দিন উন্নতি করছি। দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক ভালো দল। ওদের রাবাদা, মরকেল, ফিল্যান্ডার সবাই ভালো করছে। কিন্তু আমরা যে একেবারে পিছিয়ে সেটা বলবো না। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে স্পিনাররা সফল হলেও বাংলাদেশের পেসারদের ভেতরে মোস্তাফিজ ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছে। ’
আর এই সিরিজে ভালো কিছু করতে হলে পেস বোলারদের এগিয়ে আসতে হবে বলেও মত দিলেন তিনি, ‘নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকা পেস বোলারদের জন্য ভালো, আবহাওয়া উইকেট সব মিলিয়েই। তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের উপর চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকবে। ম্যাচ জিততে গেলে অবশ্যই পেস বোলাদের ভূমিকা বেশি থাকবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি