বিসিবির কাছে পাঠানো আবেদন পত্রে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, ক্লান্তির কারণেই আপাতত লংগার ভার্সনে খেলতে চান না তিনি।
সাকিব জানান, ‘আরও ভালো খেলার চিন্তা করেই আমি ৬ মাসের জন্য টেস্টে থেকে ছুটি চেয়েছিলাম।
আপাতত দুই টেস্টের হলেও এটাকে বড় বিরতিই মনে করছেন সাকিব। সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনার এভাবে বিশ্রাম চাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একটা সংস্কৃতিতে পরিণত হবে কি না? জবাবে সাকিব বলেন, ‘না আমি এটা মনে করি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০-১১ বছর হয়ে গেল। একটা ব্রেক তো নিতেই পারি, এটা আমি ডিজার্ভ করি। ’
অবসরের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত টেস্ট খেলতে চান সাকিব। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সীমিত ওভারের খেলা একদিনের হয় কিংবা তিন ঘণ্টার হয়। টেস্ট ম্যাচ হয় পাঁচদিনের। সাথে অনুশীলন তো থাকেই। সত্যি বলতে কি মানসিকভাবে ফুরফুরে না থাকলে টেস্ট খেলার কোনো মানেই হয় না। দেখুন, টেস্টে চার ইনিংসে আমাকে ব্যাট ও বল হাতে কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই সেটা ঠিকভাবে করতে হলে বিশ্রামটা জরুরি ছিল। আমার ইচ্ছা সবার শেষে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেব। তার আগে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে থেকে অবসর নেব। কিন্তু আমার মনের কথা সবসময় সবাইকে বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। আমার ভেতরে কি আছে, আমি জানি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি