হয়তো তখন তার মনেও এমন উন্মাদনা সৃষ্টিকারী টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছিলো। অবশ্য অনিকের সেই স্বপ্নের বাস্তব প্রতিফলন ঘটতে খুব বেশি সময় লাগলো না।
প্রথমবারের মতো দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জাকজমকপূর্ণ আসর বিপিএলে ডাক পেয়ে দারুণ আনন্দিত অনিক। তবে তার সেই আনন্দ আরও ঘনিভূত হয়েছে তার বাবার আনন্দে। ছেলের বিপিএলে ডাক পাওয়ায় রীতিমতো অভিভূত হয়েছেন অনিকের বাবা, কাজী বশিরুল ইসলাম।
‘আমি অনেক খুশি এবং আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা যে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকাকালীন অবস্থায় বিপিএলে ডাক পেয়েছি। অবশ্যই আনন্দের ব্যাপার। তবে আমার থেকে খুশি হয়েছে আমার বাবা। আমি সত্যিই অনেক খুশি যে এই সময়ে আমার বাবাকে সারপ্রাইজ দিতে পারছি। ’ রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনিক সংবাদ মাধ্যমকে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বিপিএলের পঞ্চম আসরে অনিকের রাজশাহীতে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে অুনঘটক হিসেবে হয়তো অনেক কিছুই কাজ করেছে। সেটা হতে পারে গেল আসরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স, যেখানে আবাহনীর হয়ে ৮ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছিলেন ৯টি উইকেট। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে করা পারফরম্যান্সতো আছেই। অনিকও তেমনই ভাবছেন। অনিক জানান, ‘এটা হতে পারে। তবে আমার যতটুকু চেষ্টা ছিল প্রিমিয়ার লিগে ভালো বল করা, সবকিছু মিলিয়ে আমি খুশি। কারণ প্রিমিয়ার লিগে এটাই আমার প্রথম বছর ছিল। আর আবাহনীতে খেলতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ আবাহনীতে সবাই চাইলেই খেলতে পারে না। আমি চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব ভালো করার। ’
পারফরমাররা সব জায়গাতেই পারফর্ম করতে পছন্দ করেন। অনিকও তার ব্যতিক্রম নন। দলের হয়ে, আবাহনীর হয়ে বল হাতে আগুনের গোলা ছোঁড়া এই পেসার রাজশাহীর হয়েও সেই বোলিং গোলা ছুঁড়তে চাইছেন, ‘বিপিএল আন্তর্জাতিকমানের টুর্নামেন্ট। এখানে মানসিকভাবে বেশ তৎপর থাকতে হয়। সবকিছু নিখুঁতভাবে করতে হয়। ’
তবে শুধু বিপিএল আনন্দেই গা ভাসাচ্ছেন না অনূর্ধ্ব-১৯ এর এই পেসার। বিপিএল ছাপিয়ে আপাতত তাকে মনোনিবেশ করতে হচ্ছে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজ ও এশিয়া কাপ, ‘আমি বিপিএল নিয়ে ফোকাস করছি না। সামনে যে দুইটা সিরিজ আছে, আফগানিস্তান ও এশিয়া কাপ ওই দুইটাতে ভালো করার চেষ্টা আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি