টাইগার ফাস্ট বোলার রুবেল দ. আফ্রিকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতে দলের বাকি সদস্যদের সাথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলেও, অতিক্রম করতে পারেননি ঢাকার সীমানা। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বিমানে চড়ার বদলে বিমানবন্দর থেকেই ফিরে আসতে হয়েছে তাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সফর আদৌ করতে পারবেন কিনা রুবেল তা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা!
দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ছাড়পত্র না আসায় এমিরেটস এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ রুবেলকে বিমানে তুলতে অস্বীকৃতি জানায়। দলের সবাই চলে গেলেও রুবেল ফিরে যান বাসায়। জানা যায়, এয়ারলাইনস থেকে নাকি জানানো হয়েছে, রুবেলের নিরাপত্তা ছাড়পত্র আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ এই নামটি দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশনের কালো তালিকাভুক্ত।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘কোনো কোনো দেশের নতুন নিয়মানুযায়ী এখন চূড়ান্ত গন্তব্য থেকে ‘ওকে টু বোর্ড’ ছাড়পত্রের দরকার হয় যাত্রীদের। বোর্ডিং পাস দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসও সেই ছাড়পত্রটি এনে থাকে। যেকোনো কারণেই হোক অন্যদের ছাড়পত্র এলেও আসেনি রুবেলেরটি। ’
অন্য একটি সূত্র থেকে নাকি বিসিবিকে জানানো হয়েছে, রুবেলকে নিয়ে মূল সমস্যাটা নামের বিভ্রাট। ‘রুবেল হোসেন’ নামের এক বাংলাদেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশনে কালো তালিকাভুক্ত হয়ে আছেন। এখন ক্রিকেটার রুবেল হোসেনই সেই রুবেল কি না, এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছেন তারা। সে জন্যই আটকে আছে ছাড়পত্র। বিসিবির ধারণা, অন্য কোনো রুবেল হোসেন হয়তো কখনো দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো অপরাধ করেছেন, যার মাশুল দিতে হচ্ছে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে।
তবে এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সাথে রুবেল হোসেন ইস্যুতে বিসিবির কথা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান ঘটবে আর রুবেলও দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়াল দেবেন বলে বিশ্বাস বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার, ‘আমরা ওর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছি। আসা মাত্রই আমরা ওকে বিমানে তুলে দেব। ’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি টেস্টের পাশাপাশি তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এমএমএস