নতুন কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার প্রথম অনুশীলনে দলের সবাই ছিলেন খোশ মেজাজে। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে সামনে রেখে গেল জুলাই থেকেই অনুশীলন করে বাংলাদেশ।
ক্যাম্প শেষে ৩০ জনের মধ্য থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের ১৪ সদস্যের দল নির্ধারণ করেছিল নির্বাচকরা। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের জন্য আলাদা দল গঠন করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্পিনারদের প্রাধান্য দিলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার গতিময় এবং বাউন্সি উইকেটের কারণে পাঁচ পেসার নিয়ে এবারের স্কোয়াড সাজানো হয়েছে।
৪৩ দিনের সফরে গিয়ে এ মাসের ২১-২৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে উইলোমুর পার্কে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ একাদশ।
এরপর এ মাসের ২৮ তারিখ থেকে ২ অক্টোবর সেনউইস পার্কে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের মোকাবেলা করবে সফরকারী বাংলাদেশ। ৬-১০ অক্টোবর ম্যাংগুয়াং ওভালে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
টেস্ট মিশন শেষে একদিন বিরতির পর একই ভেন্যুতে ১২ অক্টোবর একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেবে আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশ ও বাংলাদেশ একাদশ। ১৫ অক্টোবর ডি বিয়ারস ডায়মন্ড ওভালে টাইগার ও প্রোটিয়াদের মধ্যে গড়াবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেটি অনুষ্ঠিত হবে ১৮ অক্টোবর বোলান্ড পার্কে। আর ২২ অক্টোবর বাফেলো পার্কে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও সফরকারী বাংলাদেশ।
ওয়ানডে মিশন শেষে ২৬ অক্টোবর দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ম্যাংগুয়াং ওভালে। এরপর ২৯ অক্টোবর সেনউইস পার্কে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে সিরিজের সমাপ্তি টানবে টাইগাররা।
বাংলাদেশ দল:
মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও শুভাশিষ রায়। দলের আরেক সদস্য রুবেল হোসেন ভিসা জটিলতায় এখনও যেতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি