হাতে সবক’টি উইকেট নিয়ে চতুর্থ বা শেষ দিন বরিশালকে পাড়ি দিতে হতো বিশাল পথ। ৪০৩ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের দিনই বরিশাল বিনা উইকেটে তুলেছিল ৩২ রান।
আগে ব্যাট করে খুলনা প্রথম ইনিংসে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রানে থামে। শতক হাঁকান তুষার ইমরান আর মেহেদি হাসান। বরিশালের মনির হোসেন একাই ৭টি উইকেট তুলে নেন। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রানে অলআউট হয় বরিশাল। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনা ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের প্রথম স্তরের (টায়ার ওয়ান) ম্যাচে ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরি হাঁকান তুষার। ১৯৬ বলে ১৬টি চার আর একটি ছক্কায় তিনি করেন ১৩২ রান। মেহেদি হাসান ২৯০ বলে ১৬টি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৭৭ রান করেন। ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। বরিশালের মনির হোসেন ৭টি, কামরুল ইসলাম রাব্বি একটি আর তানভীর ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫৮ রান করেন রাফসান। সালমান ৩২ আর মনির হোসেন ৩০ রান করেন। আল আমিন হোসেন, আবদুর রাজ্জাক চারটি করে উইকেট দখল করেন। মাশরাফি আর মেহেদি হাসান একটি করে উইকেট তুলে নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনার ওপেনার রবি ২৪, এনামুল বিজয় ১৩, মোহাম্মদ মিঠুন ০, নুরুল হাসান সোহান ৫৭, তুষার ইমরান ৫৭, জিয়াউর রহমান ১৬ আর মাশরাফি ১৬ রান করেন। বরিশালের সোহাগ গাজী তিনটি উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান কামরুল ইসলাম রাব্বি এবং মনির হোসেন।
৪০৩ রানের বড় টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের ওপেনার ফজলে রাব্বির ৮৮ রানের ইনিংসটি ছাড়া আর বলার মতো কোনো ইনিংস নেই। রাফসান ২৭, আল আমিন ১০ আর নুরুজ্জামান ১৬ রান করেন। আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। খুলনার রাজ্জাক ৫টি এবং মইনুল ৩টি উইকেট তুলে নেন। মাশরাফি ৪ ওভারে ১৪ রান খরচায় কোনো উইকেট নিতে পারেননি। ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন মেহেদি হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি