তিন পেসার না খেলিয়ে দু’জনকে খেলালেই হতো। কী এমন আহামরি বোলিং করেছেন পেসাররা? দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা তুলেছে ২৯৮ রান।
ফাফ ডু প্লেসিদের বিপক্ষে টস জিতেও মুশফিক ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তে বিস্মিত খোদ ধারাভাষ্যকাররাও। বারবারই তারা বলছেন, ফিল্ডিং না নিয়ে এই উইকেটে ব্যাটিং নেয়াটাই অধিক যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু মুশফিক কেন এটা করলেন সেই বিষয়টি এখনও বোধগম্য নয়। হয়তো তিনি ভেবেছিলেন প্রতিপক্ষের নতুন ওপেনিং ব্যাটসম্যান আছে, যার বিপক্ষে ইনিংসের শুরুর দিকে বোলারদের দিয়ে উইকেট বের করে নিতে পারবেন। অভিষিক্ত সেই মার্কারাম করেন ৯৭ রান। আরেক ওপেনার এলগার অপরাজিত ১২৮ রানে। আর তিন নম্বরে নামা হাশিম আমলা অপরাজিত ৬৮ রান নিয়ে।
অবশ্য মুশফিক একাই বা কেন এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন? সেখানে তো কোচ ও প্রধান নির্বাচকও আছেন। হয়তো তারা উইকেট বুঝতে ভুল করেছেন।
এদিকে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেরা একাদশে পেসার নির্বাচনেও অদূরদর্শীতার পরিচয় দেয়া হয়েছে। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিবেচনায় মোস্তাফিজ এবং শফিউল ছিলেন। কিন্তু রুবেলকে না নিয়ে তাসকিনের অন্তর্ভূক্তি কতটুকু যৌক্তিক সেটা বোধগম্য নয়।
শুধুমাত্র গতি ও বাউন্সারের বিবেচনায় নেয়া হলেও রুবেল হতে পারতেন একের ভেতরে চার। বাউন্সার ও গতির পাশাপাশি তার ছিল অভিজ্ঞতার ঝুলি। যেখান থেকে দু’একটি যাদুকরি ডেলিভারি দলের চেহারা বদলে দিতে পারতো। আর কিছু না হোক তার রিভার্স সুইংতো ছিল। রুবেল একজন ভালো ফিল্ডারও।
তাছাড়া মোস্তাফিজকে ফিল্ডিং প্লেসিংয়ে কেমন বেখাপ্পা লাগছে। পয়েন্ট ও গালিতে তার চেয়ে কার্যকর ফিল্ডার হতে পারতো সাব্বির কিংবা অন্য কেউ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি