তবে দেশের মাটিতে না পারলেও এক সিরিজ পরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় ঠিকই পেরেছেন মুমিনুল। সে যেন তেন পারা নয়।
আর সেটি হলো দক্ষিণ আফ্রিকায় কোন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সেরা ব্যাটিং ইনিংসের রেকর্ড। যা এর আগে ছিল আল শহারিয়ার রোকনের দখলে (৭১ রান)।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের পেস তোপ ও স্পিন ঘূর্ণির সামনে যেখানে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা একে একে সাজঘরে ফিরেছেন, সেখানেই এমন চোখ ধাঁধাঁনো ব্যাটিং করলেন মুমিনুল। তার এমন ব্যাটিংয়ে একসময় মনে হচ্ছিল শেষ পর্যন্ত বুঝি ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতকটি তুলে নেবেন। কিন্তু হলো না। তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির পরে কেশব মহারাজের বলটি খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৭৭ রানে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ধরা পড়েন মার্কারামের হাতে।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মুমিনুল ব্যাট হাতে নেমেছিলেন দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে। পচেফস্ট্রুমে বল হাতে মরকেল, রাবাদাদের গোলাসম প্রতিটি বলই দারুণ আত্মবিশ্বাসের সাথে মোকাবেলা করে দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে। সেখান থেকেই তৃতীয় দিনের শুরুটা করেন এই বাঁহাতি লিটল মাস্টার। দিনের শুরুতে অবশ্য রাবাদা তোপে কিছুটা চাপে ছিলেন। তবে তার প্রত্যয়ী ব্যাটিংয়ের সামনে সুযোগ পাননি রাবাদা। এমনকি অভিজ্ঞ মরনে মরকেলও না। ‘তেরে মেরে ডান্ডা’ ভাব নিয়ে ঘূর্ণি চালিয়েছেন কেশভ মহারাজও। কিন্তু সব প্রোটিয়া বোলারদের থোরাই কেয়ার করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের একাদশ অর্ধশতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি