অপরাজিত আছেন কেশব মহারাজ এবং ফেলুকাওয়ো। এ রিপোর্ট লেখা অবধি প্রোটিয়ারা ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২২২ রান।
তৃতীয় দিন ১৭৬ রান পিছিয়ে থেকে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নামেন মার্কারাম এবং ডিন এলগার। ইনিংসের অষ্টম ওভারে শফিউলের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন এলগার। বিদায়ের আগে করেন ১৮ রান। দলীয় ৩০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দ. আফ্রিকা। দলীয় ৩৮ রানের মাথায় স্বাগতিকদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান মোস্তাফিজ। দুর্দান্ত এক স্লোয়ারে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন অভিষিক্ত মার্কারামকে। বিদায়ের আগে তিনি করেন ১৫ রান। চতুর্থ দিনের শুরুতে মোস্তাফিজের দারুণ এক কাটারে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন হাশিম আমলা। বিদায়ের আগে তিনি ৪৩ বলে করেন ২৮ রান।
এরপর ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থাকা দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস ১০১ বলে করেন ৮১ রান। মুমিনুলের বলে এলবির শিকার হয়ে ফেরার আগে তিনি ৬টি চারের সাথে একটি ছক্কা হাঁকান। এটি ছিল মুমিনুলের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় উইকেট। প্রথমটি পেয়েছিলেন ২০১৩ সালে, চট্টগ্রামে। এরপর নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় উইকেটটি নিতে ফিরিয়ে দেন তেমবা বাভুমাকে। উইকেটের পেছনে লিটনের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে বাভুমা ১০৭ বলে সাতটি বাউন্ডারিতে করেন ৭১ রান। এক ওভার পরই মুমিনুল ফিরিয়ে দেন কুইন্টন ডি কককে। স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ৮ রান।
তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে গিয়ে ৩২০ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ৮৯.১ ওভার খেলা বাংলাদেশ। শেষ ২৮ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেটে ৪৯৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সফরকারীদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত ৭ রান করে কেগিসো রাবাদার লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা মেরে স্লিপে মার্কারামের তালুবন্দি হন ইমরুল। ইমরুলের পর বিদায় নেন ২৯ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ২৫ রান করা লিটন দাস। দলপতি মুশফিকুর রহিম কেশব মহারাজের বলে মার্কারামের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৫৭ বলে সাতটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৪৪ রান। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। তিনি ৬৭ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৪১ করে বিদায় নেন। মুমিনুল হক কেশব মহারাজের বলে মার্কারামের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন। ১৫০ বলে ১২টি বাউন্ডারিতে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন মুমিনুল। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বাদশ অর্ধশতক স্পর্শ করেন ১১২ বলে।
ব্যক্তিগত ৩০ রান করে ফেরেন সাব্বির রহমান। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান মাহমুদুল্লাহ। মরনে মরকেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১২৪ বলে ১১টি চার আর একটি ছক্কায় তিনি করেন ৬৬ রান। তাসকিন ব্যাটিংয়ে নেমে রানআউট হয়ে ফেরেন ০ রানে। কেগিসো রাবাদার বলে এলগারের তালুবন্দি হন ৮ রান করা মেহেদি হাসান মিরাজ। শেষ ব্যাটসম্যান হয়ে ২ রান করা শফিউল স্লিপে মহারাজের বলে আমলার তালুবন্দি হন। মোস্তাফিজ ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। মহারাজ তিনটি, রাবাদা দুটি আর মরনে মরকেল দুটি উইকেট পান।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৪৯৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। তেমবা বাভুমা ৩১ এবং দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। অভিষেক ইনিংসেই তরুণ ওপেনার মার্কারাম ৯৭ রান করেন। হাশিম আমলা টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরির দেখা পান। ২০০ বলে ১৭টি চার আর একটি ছক্কায় ১৩৭ রান করে শফিউলের বলে মিরাজের তালুবন্দি হন আমলা। মোস্তাফিজের করা দলীয় ১৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বিদায় নেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলা ডিন এলগার। ব্যক্তিগত ১৯৯ রানের (নবম সেঞ্চুরি) মাথায় মুমিনুলের তালুবন্দি হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ১ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরপি