সেখানে খেলতে যাওয়া বিশ্ব একাদশের প্রত্যেক ক্রিকেটার প্রায় ৮০ লাখ টাকারও বেশি পেয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশি ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।
সর্বশেষ পাকিস্তানের মাটিতে দেশটির ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি খেলা হয়। কিন্তু ফাইনাল ছাড়া আসরের সবকটি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনালটি অবশ্য পাকিস্তানে আয়োজন করায় নিরাপত্তার কারণে বিদেশি ক্রিকেটারদের খুব বেশি দেখা যায়নি। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন এনামুল হক বিজয়।
এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তান শিরোপা জেতার পর সেই দেশে ক্রিকেট ফেরাতে খোদ আইসিসিই আয়োজনে এগিয়ে আসে। ফলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই বিশ্ব একাদশ ও পাকিস্তানের সিরিজটি সম্পন্ন হয়। এই সিরিজে সাফল্য আসার পর পিসিবি আবারো আগ্রহী হয়ে উঠেছে দেশটিতে বড় পরিসরে ক্রিকেট ফেরাতে। যেখানে আসন্ন পিএসএলের বেশ কিছু ম্যাচ তারা পাকিস্তানে আয়োজন করতে চায়। যার জন্য বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের জন্য লোভনীয় প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানের একটি দৈনিকে জানানো হয়, দেশটির মাটিতে বিদেশি ক্রিকেটাররা প্রতি ম্যাচ খেলে পাবেন ১০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় আট লাখ ২০ হাজার টাকা। আর এই প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশের তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান থেকে শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল, অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন, ডেভিড ওয়ার্নার, ইংল্যান্ডের ইয়ন মরগানদের মতো সেরা তারকাদের।
সংবাদে আরো জানানো হয়, পাকিস্তান সুপার লিগে খেলা ক্রিকেটাররা তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছ থেকে যা অর্থ পাবে তার সাথে এই আট লাখ ২০ হাজার টাকার কোনো সম্পর্ক নেই। এই অর্থের পুরোটাই বহন করবে পিসিবি।
এ ব্যাপারে পিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘ম্যাচ প্রতি ১০ হাজার ডলার বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য ভালো প্রস্তাব হবে। এবারের আসরে পাকিস্তানে পিএসএলের বেশকটি ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে। যেখানো বিদেশি ক্রিকেটাররা যদি এখানে তিনটি ম্যাচও খেলে, তবে খুব সহজেই বাড়তি ৩০ হাজার ডলার আয় করতে পারবে। ’
২০১৮ সালে অনুষ্ঠেয় পিএসএলে পেশোয়ার জালমির হয়ে মাঠে দেখা যেতে পারে তামিম ও সাকিবকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ০২ অক্টোবর, ২০১৭
এমএমএস