ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মুশফিকদের সামনে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের চ্যালেঞ্জ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৭
মুশফিকদের সামনে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের (১-১) আত্মবিশ্বাস নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শুরুতেই ধাক্কা। পচেফস্ট্রুমে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে তামিম-সাকিববিহীন বাংলাদেশ। নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের চাপ জয় করতে হবে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-মোস্তাফিজদের।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) মাঠে গড়াবে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট। ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াং ওভালে খেলা শুরু ‍বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।

সিরিজে ফেরার ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে তামিম ইকবালের ইনজুরি।

টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই প্রস্তুতি ম্যাচে বাঁ পায়ের মাংসপেশীতে চোট পেয়েছিলেন তামিম। সহনীয় ব্যথা নিয়ে খেলেছেন প্রথম টেস্ট। কিন্তু ঊরুর ইনজুরি অবনতি হওয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে থাকতে হবে দর্শক ভূমিকায়। ‘গ্রেড ওয়ান টিয়ার’ চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে চার সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। প্রথম টেস্ট শেষে স্ক্যান রিপোর্টে ইনজুরির মাত্রা নিশ্চিত হয়। তামিমের জায়গায় ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।

মাঙ্গুয়াং ওভালের সম্ভাব্য বাউন্সি উইকেটে তামিমের অনুপস্থিতি হবে অপূরণীয়। পচেফস্ট্রুমে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায় দ্বিতীয় ইনিংস। সঙ্গী হয় বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা। ১০ বছর আগে ইনিংসে একশ’র নিচে অলরাউট হয়েছিল বাংলাদেশ। তাই ব্লুমফন্টেইনে ব্যাটসম্যানদের সামনে অগ্নিপরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।

প্রথম টেস্টে প্রোটিয়া বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের সাফল্যে (৭ উইকেট) সাকিব আল হাসানের অভাবটা ভীষণভাবে টের পেয়েছে টিম বাংলাদেশ। সাদা পোশাকে সাময়িক বিশ্রাম চেয়ে দ. আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে অংশ নেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব-তামিমবিহীন ম্যাচে অন্য সিনিয়রদের ওপর দায়িত্বভার বেড়ে যাবে। দু’জনের অনুপস্থিতি মেনে নিয়ে নিজেদের মেলে ধরার বিকল্প নেই। ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ড্র হওয়া গল টেস্টের পর এ প্রথম একই ম্যাচে নিজেদের দু’জন সর্বোচ্চ রানস্কোরারকে ছাড়াই মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ! গলে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ম্যাচটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপু্ণ্যে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ওই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে টাইগাররা।

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিম সেই ম্যাচের সুখস্মৃতি টেনে আনেন, ‘আমাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ এখানে ভালো কিছু করার। আমি যদি ভুল না করে থাকি, এই দুই জনকে ছাড়া আমরা সম্ভবত শেষ টেস্ট খেলেছিলাম গলে। সেই টেস্ট আমরা ড্র করেছিলাম। সেটাও কিন্তু আমাদের জন্য অত সহজ ছিল না। ওই সময়ে শ্রীলঙ্কা দলে যে খেলোয়াড়রা ছিলেন তারা এখনকার ক্রিকেটারদের চেয়ে অনেক ভালো ছিলেন। ’

প্রথম ম্যাচে ভরাডুবি হলেও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও ভালো করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মুশফিকের দল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। ক’দিন আগে তিনি সংবাদ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমরা স্কিল কাজে লাগাতে পারিনি। ছোট ভুল করেছি অনেকগুলো। তবে এখনও আমরা আত্মবিশ্বাসী। নিউজিল্যান্ডে সাকিব ডাবল সেঞ্চুরি করেছে, মুশফিক দেড়শ রানের ইনিংস খেলেছে। এই ছোট ছোট জিনিসগুলো আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ থাকছে। খুব ভালোভাবে সিরিজে ফিরে আসব। নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। যে ভুলগুলো আমরা করেছি সেসব নিয়ে কথা হয়েছে। বিশ্বাসটা নিজের ভেতর থেকেই আসে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের স্কিল ভালো, মাঠে সেটা কাজে লাগাতে হবে। এগুলো এখন বলে লাভ নেই। এখন দ্বিতীয় টেস্টে ফিরে আসতে হবে, এটাই মূল বিষয়। ’

প্রসঙ্গত, ব্লুমফন্টেইনে এর আগে একটি টেস্টই খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ওই ম্যাচের ফলাফল স্মরণ না করাই ভালো। ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল সফরকারীরা। সেবারই দ. আফ্রিকায় শেষবার টেস্ট সিরিজ খেলেছিলেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ৫ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।