সাদা পোশাকে এমন তিক্ত এক একটি হারের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে দলের সাথে মাশরাফি, সাকিব যোগ দেয়ার পর প্রত্যাশা ছিল প্রোটিয়াদের আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটিতে অন্তত জয়ের হাসি হাসতে পারবে লাল-সবুজের দল। কিন্তু হলো না।
ফলে ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে শুরু করে টাইগার সমর্থকদের মনেও একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রিয় ফরমেট ওয়ানেডেতে ‘স্বরূপে ফিরবে তো বাংলাদেশ? হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে তো। ’ তার উত্তর মিলবে রোববারই (১৫ অক্টোবর)। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংম্বার্লির ডায়মন্ড ওভালে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারীদের মোকাবেলা করবে শক্তিশালী স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়।
অবশ্য ওয়ানেডে ফরমেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পরিসংখ্যান দেখলে যে কেউই হয়তো ভড়কে গিয়ে বলবেন, নাহ সম্ভব না। কেননা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এই পর্যন্ত ১৯টি ওয়ানডে খেলে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। এর দুটি ২০১৫ সালে নিজেদের মাটিতে। যেখানে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটে সব সময়ের শক্তিশালী এই দলটিকে সিরিজ হারানোর সুখকর মুহূর্ত রচনা করতে পেরেছিল মাশরাফি অ্যান্ড কোং।
আর অপর জয়টি এসেছিল আজ থেকে এক দশক আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে (২০০৭)। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরে গ্রায়েম স্মিথদের ৬৭ রানে হারিয়ে রীতিমতো রুপকথার জন্ম দিয়েছিল হাবিবুল বাশার সুমন নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
তবে হতাশার কথা হলো দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে কখনই তাদের হারানোর সুখকর মুহূর্ত রচনা করতে পারেনি টিম বাংলাদেশ। কিন্তু আগে হয়নি তাই এখনও হবে না। এমন ভাবনার মধ্যে আটকে না থাকাই ভালো। দিন বদলের পালায় বিশ্ব ক্রিকেটের যে চূড়ায় মাশরাফিরা তরতর করে উঠছে তাতে ‘টাইগাররা জিতবে’ একথা বলা নিশ্চয়ই বাহুল্য নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে দিন শেষে ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্বাগতিকদের কন্ডিশন। কেননা প্রতিপক্ষ হিসেবে স্বাগতিকরা যতটা না শক্ত, তার চেয়েও বেশি শক্ত তাদের কন্ডিশন। সঙ্গত কারণে এখনই নির্ভার হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। উল্টো থাকছে সেই শঙ্কা। আসল চেহারায় ফিরবে তো টাইগাররা?
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ১৪ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি