ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

কাঠগড়ায় টপঅর্ডারের ব্যাটিং

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
কাঠগড়ায় টপঅর্ডারের ব্যাটিং ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারী বাংলাদেশের টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যানরা যদি দায়িত্ব নিয়ে খেলতেন তাহলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাশরাফিদের লজ্জার এই হার বরণ করে নিতে হতো না বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক ন্যাশনাল গেমস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ও বর্তমান হাই পারফরম্যান্স দলের ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

ফাহিমের মতে বাংলাদেশের টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় বড় রান সংগ্রহের চাপ মিডলঅর্ডারের ব্যাটসম্যানদের উপর পড়ায় তাদের অতিমাত্রায় শটস খেলার প্রবনতা ছিল। তাতে ২৭৮ রানেই বাংলাদেশের ইনিংস থমকে গেছে।

তিনি জানান, ‘আমরা যাদের নিয়ে ব্যাটিং শুরু করলাম তাদের মধ্যে বড় সংগ্রহের মনোভাব দেখা যায়নি। কন্ডিশন যেমনই হোক না কেন দ. আফ্রিকার বিপক্ষে ৩শ রান করার মতো সামর্থ আমাদের ব্যাটসম্যানদের আছে। টপঅর্ডার পারেনি বলেই মিডলঅর্ডারও স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হয়েছে। বড় স্কোর করার জন্য এক নম্বর ও দুই নম্বরের মধ্যে জুটির কোনো বিকল্প নেই। ওপর থেকে তারা ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে মিডলঅর্ডারকে অনেক দেখেশুনে খেলতে হয়। ’     

উদ্বোধনী জুটির দুই ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ৩১, লিটন দাস ২১ এবং বড় কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে তিনে পাঠানো সাকিব যদি ২৯ রানে না ফিরতেন তাহলে মিডলঅর্ডারে রিয়াদ, সাব্বিররা আরও ধারালো ব্যাটিং উপহার দিতে পারতেন। এমনকি ১১০ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিকও তার ইনিংসটি আরও বড় করতে পারতেন বলে বিশ্বাস ফাহিমের। এতে করে টাইগাররা ইনিংস শেষে ৩১০ বা ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ পারতো।

ফাহিম যোগ করেন, ‘আমাদের ব্যাটম্যানরা যদি ৩২০ রান সংগ্রহ করতো তাহলে দ. আফ্রিকা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতো এবং তা করতে গিয়ে কিছু উইকেট হলেও তাদের হারাতে হতো। ’

টপঅর্ডারের দৈন্য ব্যাটিংতো আছেই পাশাপাশি টাইগার বোলারদের নিষ্প্রাণ বোলিংয়ের বিষয়টিও এড়িয়ে গেলেন না বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোচদের এই কোচ, ‘আপনাকে দেখতে হবে আমাদের বোলাররা যতগুলো বল ডেলিভারি দিয়েছে তার কতটা উইকেট নেয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। ৫০টি বিব্রতকর বলও তারা করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। ’

দলের এমন অবস্থায় করণীয় কী? সামনে আরও দুটি ওয়ানডে ও পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজ পড়ে আছে। ফাহিমের সোজা উত্তর, ‘ভালো কিছু করতে হলে টপঅর্ডারকে বড় জুটি করতে হবে। যা আমাদের মিডলঅর্ডারকে সাপোর্ট দেবে। ১৫ ওভারের মধ্যে আমাদের ২ বা ৩ উইকেট চলে গেলে মিডলঅর্ডার বিপাকে পড়ে যাবে। আমাদের মিডলঅর্ডার এবং লোয়ার মিডলঅর্ডারে ভালো রান করার মতো প্লেয়ার আছে। কিন্তু যদি তাদের ১৫ ওভারের মধ্যেই ব্যাটিংয়ে আসতে হয় তাহলে স্বভাবসুলভ খেলাটি তারা খেলতে পারবে না। ’

১৮ অক্টোবর পার্লে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে বাংলাদেশের। সিরিজে ফিরতে হলে দুর্দান্ত কিছু করতেই হবে টাইগারদের। জ্বলে উঠতে হবে টাইগার টপঅর্ডারকে, পাশাপাশি বোলারদের দায়িত্ব ভুলে গেলে চলবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।