পাপন প্রথমেই বললেন দেশের ক্রিকেটে তিনি যেসব চ্যালেঞ্জ তিনি মোকাবেলা করেছেন সেসব কথা। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপন যখন দায়িত্ব নেন তার শুরুটা ছিল দারুণ কঠিন।
দেশের ক্রিকেটে কঠিনতম কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। অপরটি ছিল জাতীয় দলে টিম ওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা। পাপন জানালেন, ‘মূল ব্যাপার ছিল দলীয় শৃঙ্খলা। আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের দেশে অনেক ট্যালেন্ট প্লেয়ার আছে। এই ট্যালেন্টগুলোকে ঠিকমতো খেলাতে হবে। টিম ওয়ার্কের অভাব ছিল। আমি আসার আগে সবাই ইন্ডিভিজুয়ালি পারফর্ম করতো। আশরাফুল থেকে শুরু করে সবাই ভালো খেলতো। ওরা পারফর্ম করলে জিততাম, না হলে জিততাম না। কিন্তু টিম ওয়ার্কের অভাব ছিল। তাই এই টিম ওয়ার্ককে ম্যানেজ করে যতটুকু পারা যায়, মানে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনা যায় সেটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। ’
দেশের ভেতরের পাশাপাশি দেশের বাইরেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, পাপন। সেটা দেশের চেয়ে কোনো অংশেই কম ছিল না, ‘আমি যখন আসি তখন বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হবে কী না এটা একটা মেজর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তখন যে পরিস্থিতি ছিল তাতে আইসিসি’র সাথে আলাপ আলোচনাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি যখন আসি তখন আইসিসি থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেয়ার আলাপ আলোচনা চলছিলো। কেননা সেই সময় এক বছর বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ যাচ্ছিলো। আবার ফুল মেম্বারশীপ থেকে নেমে যাওয়ার ইস্যুও ছিল। এইগুলোই মূলত কঠিন ছিলো। ’
একই ইস্যুতে পাপন যোগ করেন, ‘আইসিসিতে ওদের ম্যানেজ করা এবং আইসিসি’র ইভেন্টসগুলো বাংলাদেশে আনা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কেননা তখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে কিছু দেশ আসতে চাচ্ছিলো না। অস্ট্রেলিয়া প্রথম দফায় আসলোই না। তারপরে ইংল্যান্ডকে আনাও ছিল চ্যালেঞ্জিং। দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলোর মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, যেমন ভারতে সিরিজ খেলা। ’
উল্লেখ্য, আজকের এই সংবাদ সম্মেলনই বিসিবি সভাপতি হিসেবে পাপনের শেষ দিন। ৩১ অক্টোবর বিসিবি’র নির্বাচনের পর হয়তো নতুন সভাপতি হিসেবে তিনি আবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি