সদ্য সমাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও মুশফিক, সাকিব, ইমরুলদের ব্যাটে রান এসেছে। কিন্তু ধুকতে হয়েছে টাইগার বোলারদের।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবি’র মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল ইউনুস। সেখানেই তিনি এমনটি জানান।
‘আমরা ওয়ানডেতে মোটামুটি একটা অবস্থানে থাকলেও টেস্ট ম্যাচে সেই ধরনের অবস্থানে নেই। সামনে আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে। সেখানে অনেক টেস্ট খেলা থাকবে। এগুলোতে আমাদের ভালো করতে হবে। সেই দিকেই আমাদের ফোকাসড হওয়া উচিৎ যে লঙ্গার ভার্সনে কিভাবে আরও উন্নত করা যায়। এবং লঙ্গার ভার্সনকে উন্নত করতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের স্ট্রাকচার আরও শক্তিশালী করা দরকার। এই স্ট্রাকচারের মধ্যে উইকেটগুলো স্পোর্টিং হবে। ’
দ. আফ্রিকায় স্পোর্টিং উইকেট ছিলো উল্লেখ করে জালাল ইউনুস আরও বলেন, ‘ওখানে কোন বাউন্সি উইকেট ছিলো না। সবই ছিল স্পোর্টিং উইকেট। আপনি ওখানে ব্যাটিংও করতে পারেন, বোলিংও করতে পারেন। মানে যদি কোন ফাস্ট বোলার চায় ওখানে সে বাউন্সার দিতে পারে। যাদের ওই সামর্থ্য নেই তারা পারবে না। ব্যাটসম্যানদেরও সুযোগ ছিলো, বোলারদেরও ছিলো। এই ধরণের স্পোর্টিং উইকেট জরুরি ভিত্তিতে আমাদের দুই তিনটি ভেন্যুতে শুরু করতে হবে। ’
ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগেও স্পোর্টিং উইকেট তৈরীর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এখন আর না করে উপায় নেই। কেননা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বদলেছে। আগে যেখানে ঘরের মাঠেই টাইগারদের অধিকাংশ সিরিজ খেলতে হয়েছে সেখানে আসছে দিনগুলোতে খেলতে হবে দেশের বাইরে।
সেই ভাবনা থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পোর্টিং উইকেট প্রস্তুতিতে বিসিবি কালবিলম্ব করতে চাইছে না বলে জানালেন মিডিয়া কমিটির এই কান্ডারি, ‘আমরা আগে বললেও করতে পারিনি। কিন্তু আপনারা আগামীতে দেখবেন এর ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। কারণ সামনে আমাদের দেশের বাইরেই বেশি সিরিজ খেলতে হবে। তো সেজন্য আমাদের অবশ্যই স্পোর্টিং উইকেট থাকতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ২ নভেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম