তবে, গতবার বিপিএল দর্শকদের হতাশ হতে হয়েছিল লো-স্কোরিং ম্যাচের কারণে। ব্যাটসম্যানদের দিকে অভিযোগ তোলার অবকাশ ছিল না।
৪ নভেম্বর পর্দা উঠবে সাত দলের বিপিএলের। গত আসরের স্কোরগুলো দেখে মনে হয়নি ধুম-ধাড়াক্কা ক্রিকেট হয়েছে। মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মতো চট্টগ্রামেও খুব একটা রান-বন্যায় ভাসতে দেখা যায়নি দর্শকদের। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, বিশ্বের কোনো মাঠেই নাকি এতোবেশি ম্যাচ হয়নি, যতটা হয়েছিল মিরপুরে।
এবারের বিপিএলে বেড়েছে একটি ভেন্যু। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি এবার বিপিএলের ম্যাচ হবে সিলেটে। তিন ভেন্যুতে খেলা হবে বলে একটি স্টেডিয়ামে কিংবা উইকেটে চাপ কম পড়বে। দীর্ঘদিন থেকে মিরপুরের উইকেটে খেলা হচ্ছে না। নতুন করে উইকেট বানানো হয়েছে। তাই স্পোর্টিং উইকেটের প্রত্যাশা করা যেতে পারে মিরপুরে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রান উৎসব হতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। আর প্রথমবারের মতো সিলেটে বিপিএল হওয়ায় সেখানেও প্রস্তুত স্পোর্টিং উইকেট। তাই বলা যায় গতবারের মতো এবার আক্ষেপে পুড়বে না ক্রিকেটপ্রেমীরা, দেখবেন রানের বন্যা। আয়োজকরাও সেই প্রত্যাশা মেটাতে প্রস্তুত।
গত ফাইনালে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস তুলেছিল ১৬০ রান। জবাবে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় ড্যারেন স্যামির রাজশাহী কিংস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ২ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি