গিলক্রিস্টের মতে, ‘কোহলির স্টাইল স্বহজাত, তার মন্তব্য তার আচরণের সঙ্গেই মানানসই। সে গত কয়েক বছর এভাবেই ভারতকে এগিয়ে নিয়েছে।
ক্রিকেটার কোহলির ‘আগ্রাসী মনোভাব’ আর অঙ্গভঙ্গি তরুণ প্রজন্মের অনেক ক্রিকেটারই অনুকরণ করেন বলে মনে করেন গিলি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রতিটি ক্রিকেটারের এমন হবার কোনো প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটার যারা কোহলিকে অনুকরণ করছে তারা নিজেদের খেলার উন্নতির জন্য কোহলিকে বেছে নিতে পারে, তার স্টাইল নয়। নয়তো একটা লেভেলে গিয়ে এখনকার তরুণদের নিচে পড়ে যেতে হবে। কোহলি ওয়ার্ল্ডক্লাস ব্যাটসম্যান, কোনো সন্দেহ নেই। তার অধিনায়কত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তার আচরণটাও তেমনি। তবে, সেটা সবার জন্য নয়। সে ব্যাটিংয়ের সব রেকর্ডের কাছাকাছি অবস্থান করছে। সবাই এটা পারে না। ’
এদিকে দ্রাবিড় জানিয়েছিলেন, ‘কোহলির আচরণ কখনো কখনো ভীষণ আগ্রাসী হয়। সেটা অবশ্য কোহলির নিজস্ব স্টাইল। হয়তো সে এভাবে মন্তব্য করে নিজের সেরাটা বের করে আনতে পারে। ক্রিকেটে শেষ পর্যন্ত পারফরম্যান্সই আসল। ফলে কোহলির কাছ থেকে এটা কেড়ে নেওয়া ঠিক হবে না। এটাই ওর আসল ব্যক্তিত্ব। ’
কোহলির অনুকরণীয় উঠতি ক্রিকেটারদের দিকে মনোযোগ ফিরিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ভারত ‘এ’ দলের কোচ দ্রাবিড় আরও যোগ করেন, ‘আসলে আমাকে সব চেয়ে বেশি আতঙ্কে রাখে ছোটদের ক্রিকেট। বিরাট কী করছে সেটা নয়। আমার ক্যারিয়ারে আমি সেরাটা বের করে এনেছি। বিরাটের মতো শরীরে ট্যাটু আঁকালে বা তার মতো আচরণ করলে আমি হয়তো নিজের সেরাটা বের করতে পারতাম না। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কেন এমন আগ্রাসী ছিলাম না। আমি বলবো-আমার স্টাইলে আমি সেরা, তার স্টাইলে সে সেরা। কিন্তু, কোহলির অনুকরণ করতে গিয়ে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীরা নতুন কোহলি হতে চাইছে। কিছু না
বুঝেই যদি উঠতি ক্রিকেটাররা কোহলির মতো আগ্রাসী হয়ে বেড়ে উঠতে চায় সেটা হয়তো অন্যরকমও হতে পারে। ’
কোহলির মতো কারো প্রভাবে নিজের সহজাত প্রতিভা যাতে কেউ হারিয়ে না ফেলে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে তরুণদের পরামর্শ দিয়েছেন গিলক্রিস্ট আর দ্রাবিড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ৩ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি