সিলেট সিক্সার্সের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর জয়ে ফিরতে মরিয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বোলাররা দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬৩ রান তোলেন সৌম্য সরকার ও লুক রনকি।
ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে বিপদজনক হয়ে ওঠা নিউজিল্যান্ড উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রনকিকে (২১ বলে ৪০) কাভার অঞ্চলে অলক কাপালির ক্যাচ বানিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে অধিনায়ত্বের দায়িত্ব পালন করা অাফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী।
রনকির বিদায়ে দিলশাল মুনাবেরাকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন দলের আইকন ক্রিকেটার সৌম্য। ১০ ওভার শেষে স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৯১।
কিন্তু এক ওভারে (১৪তম) দুই উইকেট নিয়ে চিটাগংকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন উদীয়মান পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সৌম্যকে (৩৩ বলে ৩৮) বোল্ড করার পর আনামুল হক বিজয়কে (৩) লং-অনে ডোয়াইন ব্রাভোর তালুবন্দি করেন। এই ধাক্কাটা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি চিটাগং।
তার আগে ১২তম ওভারে স্কুপ শট খেলতে যাওয়া মুনাবেরাকে (২১) বুদ্ধিদীপ্ত স্লোয়ার ডেলিভারিতে মারলন স্যামুয়েলসের ক্যাচে পরিণত করেন ব্রাভো।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত পেয়েও সেটিকে টেনে নিতে ব্যর্থ চিটাগংয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। সৌম্য-রনকি-মুনাবেরা আর ১৮ রানে অপরাজিত থাকা সিকান্দার রাজা ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ৬, লুইস রিসি ৯, সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩ রান করে আউট হন।
চার ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট দখল করেন সাইফুদ্দিন। ব্রাভো নেন দুই উইকেট। বাকি দু্’টি নেন আল আমিন হোসেন ও মোহাম্মদ নবী। ২১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন নবীর স্বদেশী লেগস্পিন তারকা রশিদ খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ৭ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম