কিন্তু সদ্য সমাপ্ত নেপাল সিরিজ ও আসন্ন এশিয়া কাপের ব্যস্ত সূচি থাকায় পুরো বিপিএলে খেলার সুযোগ কারোরই হচ্ছে না।
কেননা নেপাল সিরিজ শেষ করে ১০ নভেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে অংশ নিতে ৮ নভেম্বর সকাল ৮টা ৫০ মিনিটি ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন সাইফ হাসান ও তার দল।
তবে তাতে কোনো কষ্ট বা হতাশা নেই যুবা অধিনায়ক সাইফ হাসানের। কেননা তার কাছে দেশই সবার আগে, ‘দেশের হয়ে খেলাটা সবার আগে, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জার্সিতে খেলাটাতেই ফোকাস বেশি দেব। তারপর এসে বিপিএল খেলার সুযোগ পাবো। ’
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি চত্বরে দলের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে একথা বলেন।
এসময় এশিয়া কাপে অংশ নেয়া ৮ দলের মধ্যে প্রথম হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই যুবা দলপতি, ‘অবশ্যই আমরা এক নম্বর হওয়ার জন্য খেলবো। সেখানে যদি ভালো করতে পারি, ম্যাচ বাই ম্যাচ যদি খেলি আশা করবো আমরা ভালো ফলাফল করতে পারবো। ’এশিয়া কাপের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঘরের মাঠে আফগানিস্তান ও নেপালের সঙ্গে দুটি সিরিজ খেলেছে কোচ ডেমিয়েন রাইটের শিষ্যরা। কিন্তু স্বাগতিক হয়েও দেশ দুটির বিপক্ষে শতভাগ সফলতা আদায় করে নিতে পারেনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর নেপালের বিপক্ষে সিরিজ পুনরুদ্ধার করতে পারলেও তিন ম্যাচের শেষটিতে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
এমাতাবস্থায় এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চে দল কতটুকু আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছে? সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে অধিনায়কের উত্তর, ‘আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে খারাপ করেছি কিন্তু নেপাল সিরিজে আমরা কামব্যাক করেছি। অবশ্য শেষ ম্যাচটা আমরা হেরে গিয়েছি কিন্তু সেখানে আমাদের সেরা ৫ জন খেলোয়াড় খেলে নাই, আমরা আমাদের স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়েছিলাম। তবে আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়েই মালয়েশিয়া যাচ্ছি। ’
এশিয়া কাপের ‘এ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ নেপাল, মালয়েশিয়া ও শক্তিশালী ভারত। ১১ নভেম্বর গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। ১৩ নভেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে সাইফদের বিপক্ষে খেলবে মালয়েশিয়া। আর ১৫ নভেম্বর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভারতকে মোকাবেলা করবে লাল-সবুজের যুবারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ৭ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি