মালয়েশিয়ায় চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দলগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ যুবারা।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশের যুবারা।
২০১০ সালে যুব বিশ্বকাপে নেপিয়ারে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩০৭ রান করেছিলেন মুমিনুল-বিজয়-সাব্বিররা। যুব ওয়ানডেতে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের রান তিনশ অতিক্রম করল। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে মেহেদি হাসান মিরাজের দল ৭ উইকেটে করেছিল ৩০৪ রান।
কুয়ালালামপুরের বায়োসমাস ওভালে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করতে নামেন পিনাক ঘোষ এবং নাঈম শেখ। পিনাক ১২, নাঈম ১৩ রান করে বিদায় নেন। দলপতি সাইফ ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। ১০৩ বলে ৫টি চার আর তিনটি ছক্কায় সাইফ করেন ৯০ রান। চার নম্বরে নামা তৌহিদ হৃদয় ১২০ বলে করেন ১২০ রান। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার আর চারটি ছক্কার মার।
সাইফ-তৌহিদ মিলে স্কোরবোর্ডে ১৯২ রান যোগ করেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এটিও নতুন রেকর্ড। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পিনাক ঘোষ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭৯ রান করেছিলেন।
আফিফ হোসেন ধ্রুব ৯ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে করেন ২১ রান। ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন আমিনুল ইসলাম। ১৭ বলে দুটি চারের পাশাপাশি চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে করেন অপরাজিত ৩৯ রান। ৯ বলে দুটি ছক্কায় ১৬ রান করেন মাহিদুল অঙ্কন।
স্বাগতিক মালয়েশিয়ার মোহাম্মদ হাফিজ ৯ ওভারে ৭৮ রান খরচায় নেন চারটি উইকেট। দুই উইকেট নেওয়া সাইদ আজিজ ১০ ওভারে দেন ৯৬ রান।
৩৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে মালয়েশিয়ার ওপেনার সাইদ আজিজ ১ রান করে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার ও দলপতি ভিরানদিপ সিং ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। এছাড়া, সাইফ মালিক ৮, সাউভিনদার সিং ৩, বিজয় উন্নি ২ রান করেন। দলপতি ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশের শাখাওয়াত হোসেন ১০ ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন। আফিফ হোসেন ১০ ওভারে ১৮ রান খরচায় নেন দুটি উইকেট। এছাড়া, একটি করে উইকেট পান রনি হোসেন এবং সাইফ হাসান। রনি ৭ ওভারে দেন ১১ রান আর সাইফ ৯ ওভারে খরচ করেন মাত্র ৭ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ১৩ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি