খুলনা টাইটান্সের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪১ রানে ৫ উইকেট হারানো ঢাকাকে ম্যাচে ফেরান পোলার্ড। সাত নম্বরে নেমে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর দিয়ে স্টিমরোলার চালিয়ে ১৯ বলে পূরণ করেন ফিফটি।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক হাঁকিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পোলার্ড। ১৫তম ওভারে যখন শফিউল ইসলামের বলে আউট হন। ২৪ বলে খেলেন ৫৫ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস। তাতে ছিল ৩টি চার ও ৬টি ছক্কার মার।
অথচ ইনিংসের শুরুটা কী বাজেই না করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ওপেনিংয়ে এভিন লুইস (৪) ও সুনিল নারিনের (৭) নিষ্প্রাণ ব্যাটে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া দলটি ছন্দ খুঁজে পায়নি টপ অর্ডারের শহীদ আফ্রিদি (১) ও ডেলপোর্টের (২) ব্যাটেও।
মিডল অর্ডারে নেমে অধিনায়ক সাকিব কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ফিরেছেন ২০ রানেই। সাকিবের ফেরার পরেই নবম ওভারে ব্যাটিংয়ে আসেন পোলার্ড। এসে থিতু হতে সময় নিয়েছেন মাত্র ২ ওভার। তারপর ১১তম ওভার থেকেই শুরু করলেন ব্যাটিং তাণ্ডব। ওই ওভারে মাহমুদল্লাহ রিয়াদকে গুনে গুনে ৪টি ছয় মারলেন।
পরের ওভারে ধনাঞ্জয়য়কে তিনটি বল মোকাবেলা করে এক চার ও একটি সিঙ্গেলে নিয়েছেন ৫ রান। ১৩তম ওভারে স্বদেশী কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের প্রথম দুই বলের দুটিতেই বাউন্ডারি হাকিয়ে একবল বিরতি দিয়ে চতুর্থ ও ষষ্ঠ মারলেন দুটি ছয়। ১৯ বলে করলেন হাফসেঞ্চুরি।
এরপর ১৫তম ওভারে শফিউল ইসলামে চতুর্থ ডেলিভারিতে টপ-এজড হয়ে ২৪ বলে ব্যক্তিগত ৫৫ রানে ক্যাচ দিলেন উইকেটরক্ষক ধীমান ঘোষের হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ১৪ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরএম