সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছকু একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন: ‘আমি এব্যাপারে কিছুই জানি না।
ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার (২ ডিসেম্বর)। ওইদিন বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ শেষে শের-ই-বাংলার মন্থর ও বাউন্সি উইকেট দেখে বাস্তবতার নিরিখেই সংবাদ সম্মেলনে এসে সমালোচনা করেছিলেন কুমিল্লার দলপতি তামিম ইকবাল ও রংপুর দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।
তামিম বলেছিলেন, ‘দশ দিন এই মাঠে খেলা হয়নি, উইকেটের বিশ্রাম হয়েছে। এরপরও এমন উইকেট! আমার কাছে যে জিনিসটা খারাপ লাগছে, এতো এতো দর্শক এলো, তারা এসে যদি ৯৭ রানের খেলা দেখে তাহলে এটা তাদের জন্য ভীষণ হতাশার। এমন জঘন্য উইকেটে খেলা হলে তো সম্ভব না। ’
এর আগে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উইকেটকে ‘হরিবল’ (শোচনীয়) বলেছিলেন।
আর মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছিলেন, ‘এই ধরনের উইকেটে টি-টোয়েন্টি খেলা খুব কঠিন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম থেকে আসার পর এখানে এরকম উইকেট পাওয়া অবশ্যই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। ’
শুধু মাশরাফি বা তামিমই কেন? শের-ই-বাংলার উইকেট ট- টোয়েন্টির জন্য যে আদর্শ নয়, একথা বলেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের ক্যারিবীয় অল রাউন্ডার সুনীল নারাইনও। বাদ যাননি মোসাদ্দেক হোসেন। তিনিও এই উইকেট নিয়ে বেজায় নাখোশ।
যে-ই বলুন না কেন কথা তো আর মিথ্যে না। বিপিএলের চলতি আসরে মিরপুরের উইকেটের রান-বন্ধ্যাত্ব প্রকাশ্যে দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। বলের যাচ্ছেতাই মুভমেন্টে রানখরা আর এক ঘেঁয়েমির ম্যাচ ছাড়া আর কীই বা উপহার দিতে পারছে হোম ক্রিকেটের এই রান-কৃপণ উইকেট!
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
এইচএল/জেএম