এ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা কুমিল্লা, ঢাকা, খুলনা, ও রংপুরের পয়েন্ট যথাক্রমে ১৬, ১৫, ১৫, ১২। পূর্ণ ১২টি করে ম্যাচ শেষ করেছে খুলনা, ঢাকা ও রংপুর।
হেরে যাওয়া দলও শিরোপা নির্ধারণীতে পা রাখার সুযোগ পাবে। তিন ও চার নম্বরের থাকা খুলনা ও রংপুরের মধ্যকার এলিমিনেটর ম্যাচ জয়ীদের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে।
এদিন ১৩৮ রানের স্বল্প স্কোরের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরও সুবিধে করতে পারেনি। ঢাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, সুনিল নারিন ও পার্টটাইম স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেনের ঘূর্ণিতে নাজেহাল হয়ে পড়ে রংপুর শিবির। পাশপাশি জ্বলে ওঠেন পেসার আবু হায়দার রনি ও মোহাম্মদ আমিরও।
রংপুর ওপেনার চার্লস মন্থর গতিতে ব্যাট করেন। ৩০ বলে দুটি ছক্কা হাঁকালেও ২৬ রানে তিনি আবু হায়দারের বলে বিদায় নেন। দলের সবচেয়ে বড় ব্যাটিং ভরসা অধিনায়ক হিসেবে খেলা ব্র্যন্ডন ম্যাককালামকে মাত্র এক রানেই বোল্ড করেন সাকিব। দাঁড়াতে পারেননি শাহরিয়ার নাফিস ও মোহাম্মদ মিঠুনের মতো ব্যাটসম্যানরা। শেষ দিকে টুর্নামেনেটর সর্বোচ্চ রানের অধিকারী রবি বোপারা সেরা ইনিংস খেললেও জয়ের জন্য তাকে খেলতে দেখা যায়নি। ৩০ বলে একটি চার ও একটি ছক্কায় ২৮ করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ঢাকা বোলারদের মধ্যে চার ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন সাকিব। সমান দুটি উইকেট নেন আবু হায়দার। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক, নারিন ও আমির।
এর আগে টুর্নামেন্টের ৪১তম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা দলপতি সাকিব আল হাসান। তবে রংপুর বোলারদের দাপটে ঢাকার ব্যাটিংয়ে ধস নামে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দলের হয়ে কোনো ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি। ওপেনার সুনিল নারিন ও এভিন লুইস, জহুরুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন ও কাইরন পোলার্ডোর মতো তারকা ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখান।
২৩ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৩ রান করেন মেহেদি মারুফ। আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত থাকা ঢাকার হয়ে এক প্রান্ত আগলে রাখেন দলনেতা সাকিব আল হাসান। অপরাজিত থাকা এ অলরাউন্ডার ৩৩ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৭ রান করেন।
রংপুর বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও এবাদত হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট তুলে নেন স্যামুয়েল বাদ্রি, নাহিদুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক।
এ ম্যাচে রংপুরের নেতৃত্ব ব্র্যন্ডন ম্যাককালামের কাঁধে। বিশ্রামে মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফি ছাড়াও বিশ্রাম পেয়েছেন ক্রিস গেইল, জিয়াউর রহমান, চামারা কাপুগেদারা, নাজমুল ইসলাম, সোহাগ গাজী ও ইসুরু উদানা। একাদশে ফিরেছেন রুবেল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফিস, এবাদত হোসেন, জনসন চার্লস, অ্যাডাম লিথ ও স্যামুয়েল বদ্রি।
ঢাকা একাদশে চারটি পরিবর্তন আনা হয়। শহীদ আফ্রিদি, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, সাদমান ইসলাম ও নাদিফ চৌধুরীর জায়গায় খেলছেন মেহেদি মারুফ, মোহাম্মদ সাদ্দাম, মোহাম্মদ আমির ও এভিন লুইস।
এবারের আসরে দু’দলের প্রথম দেখায় জয় পায় রংপুর। গত ২১ নভেম্বরের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৩ রানে হার মানে ঢাকা।
এর আগে শীর্ষস্থানধারী কুমিল্লার বিপক্ষে খুলনা টাইটান্সের আগের দিনের জয়ে শীর্ষ দুইয়ে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় রংপুরের। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা এ ম্যাচ জিতে খুলনাকে টপকে গেল। রংপুরকে হারিয়ে নেট রান রেট সুবিধায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে যায় তারা। অন্যদিকে, ডায়নামাইটসকে হারিয়ে তিন নম্বরে থেকে লিগ পর্ব শেষ করতে পারতো রাইডার্স। তবে হেরে তা আর হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
এমআরএম/এমএমএস