মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেছেন, ‘টি টোয়েন্টির জন্য এই উইকেট মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। ’ ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার সুনিল নারাইনের মত ‘টি-টোয়েন্টির জন্য এটি আদর্শ উইকেট নয়।
কিন্তু ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের চোখে মিরপুরের উইকেটের কোন দোষই ধরা পড়েনি। বরং তার কাছে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই বড় হয়ে ধরা দিয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) তার দলের করা ১৩৭ রানের জবাবে ৯৭ রানে রংপুরের ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পরেও উইকেট নিয়ে তার কোনো অভিযোগই নেই! তার যত অভিযোগ সবই ব্যাটসম্যানদের নিয়ে।
‘উইকেটটা আমাদের হাতে নাই, এটা আমার কাজ না। এটা কিউরেটরের কাজ। সে তার সেরাটা তৈরি করার চেষ্টা করেছে যেখানে ভালো ক্রিকেট খেলা হয়। কালকের উইকেটে দেখেন আমরা শুরুটা ভালো করতে পারিনি, তবে পরে সাকিব যেভাবে ব্যাটিং করলো তাতে উইকেটকে আমি দোষ দেব না। আমরা আসলে ব্যাটিং ভালো করতে পারিনি। আমরা বাড়তি শট খেলে আউট হয়েছি। ’
বিপিএলের এবারের আসরে উইকেট নিয়ে সমালোচনার সূত্রপাত ২ ডিসেম্বর রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচ নিয়ে। ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বের একেবারে প্রথম ম্যাচে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয় রংপুর। সেই রান তাড়া করতে গিয়েও ৬ উইকেট হারাতে হয় তামিমের কুমিল্লাকে। পরদিনই সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ৬৭ রানে গুটিয়ে যোয় চিটাগং ভাইকিংস।
এর আগে ২০৫ রানের একটি বড় স্কোর করেছিল ঢাকা। আর সেই ম্যাচকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন সুজন, ‘যেদিনের উইকেট নিয়ে এতো কথা সেদিন কিন্তু ঢাকা দু’শর উপর রান করেছে। তো বলতে পারবেন না উইকেট খারাপ। তবে আমরা চাই যে ভালো উইকেটে খেলা হোক। ফ্ল্যাট উইকেটে খেলা হোক। যেখানে দুই দল ভালো খেলবে। ’
এদিকে এবারের বিপিএলের আরেকটি আলোচিত বিষয় বাজে আম্পায়ারিংকেও পাত্তা দিচ্ছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক। তার দাবি, ‘ভুল সিদ্ধান্ত হয়। আমরা মনে করি এটা খেলার অংশ। আম্পায়ার্স রিপোর্ট একটা আমাদের কাছে আছে, আমরা বলতে পারি এটা হয়েছে, ওটা হয়েছে। কিন্তু দিনশেষে এটা আম্পায়ার্স কল। কিন্তু কোনো আম্পায়ার যদি বলে আমাদের বাজে দিন গেছে। এটা হতে পারে। কারণ তারা খালি চোখে দেখে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম