জানুয়ারিতে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে তাদের দু’জনকে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের ভূমিকায দেখা যাবে।
এর মধ্য দিয়ে ২০১১ সালে হারানো অধিনায়কত্ব ফিরে পেলেন সাকিব।
রোবববার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভা শেষে সাকিবের অধিনায়কত্বের ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘আমরা টেস্ট অধিনায়ক বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে আমারদের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ’
মুশফিককে সাদা পোশাকে টাইগারদের অধিনায়ক থেকে সরানোর কারণ হিসেবে পাপনের যুক্তি হলো, ‘আমরা মুশফিকের সেরা ব্যাটিং দেখতে চাই। সে ব্যাটিংয়েই মনযোগ দিক। তাকে আমরা চাপমুক্ত করতে চাচ্ছি। ওভারঅল আমরা সামনে ৪-৫ বছেরর যে পরিকল্পনা নিয়েছি, এটি তারই একটি অংশ। তামিম টি-টোয়ন্টিতে ছিলো সেখানেই থাকবে। ’
২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা চোটে পড়লে নেতৃত্ব পান সাকিব। ৯ টেস্টে অধিনায়কত্ব করে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছিলেন সাকিব। বাকি আটটিতেই ছিলো হার।
তবে টেস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচাইতে সফল অধিনায়ক কিন্তু মুশফিকই। এই ফরম্যাটে সবচাইতে বেশি সাফল্য তার হাত ধরেই এসেছে। সাদা পোশাকে বাংলাদেশ যে ১০টি জয় পেয়েছে তার ৭টিই তার হাত ধরে এসেছে। আর তার অধীনে ড্র হয়েছে ৯টি টেস্ট। হার ১৮টি ম্যাচ। তার অধীনে বাংলাদেশ ৩৪টি টেস্ট খেলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমএমএস