এর আগে বাংলাদেশের হয়ে প্রায় আড়াই বছর কোচ থাকাকালে স্বাধীনতা নিয়েই কাজ করেছেন হাথুরু। এমনকি কখনও স্বাধীনতার চেয়েও বেশি কিছু করেছেন।
টাইগারদের গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়ই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন হাথুরু। পরবর্তীতে অনেক জল ঘোলা করে বাংলাদেশের কোচ না থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে অটল থাকেন তিনি। তার অভিযোগ ছিল দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর।
এদিকে শ্রীলঙ্কান বোর্ডের আবার পূর্বে কোচের ওপর প্রভাব খাটানোর রেকর্ড রয়েছে। যার ফলে ২০১১ সালের পর থেকে তাদের ১০ জন প্রধান কোচ বদলাতে হয়েছে। সর্বশেষ গ্রাহাম ফোর্ড এমন অভিযোগে পদত্যাগ করেছিলেন।
হাথুরুর স্বাধীনতা প্রসঙ্গে লঙ্কান বোর্ড প্রধান থিলাঙ্গা সুমাথিপালা বলেন, 'বিশ্বের সেরা একজন কোচকে নিয়ে তাকে কাজের স্বাধীনতা না দেয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। আমি কোচ নই, আর বোর্ডের কেউই কোচের কাজ সম্পর্কে হাথুরুসিংহের চেয়ে বেশি ধারণা রাখেন না। আমাদের তাকে স্বাধীনতা দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি। তবে আমরা এটাই আশা করব, সময়ে সময়ে তিনি আমাদের প্রশ্নের জবাব দেবেন। '
এদিকে বিদেশি কোচের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ভাষাগত দূরত্বটা অবশেষে দূর হয়ে যাচ্ছে। ২০০০ সাল থেকে যতজন কোচ শ্রীলঙ্কার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের মধ্যে কেবল মারভান আতাপাত্তু ছাড়া আর সবাই ছিলেন বিদেশি।
সুমাথিপালা আরও বলেন, ‘এটা দলকে বাড়তি সুবিধা দেবে। হাথুরুসিংহের মনোভাব খেলোয়াড়দের জন্য সঠিক হবে। কারণ সব কথার বড় কথা, তিনি একজন শ্রীলঙ্কান। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার যোগাযোগটা ভালো থাকবে, এটা একটা সুবিধা। তাছাড়া হাথুরুসিংহের আধুনিক কোচের যা গুণ থাকা উচিত, সবই আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭
এমএমএস