টানা দ্বিতীয় জয়ের পথে টাইগাররা। এ রিপোর্ট লেখা অবধি শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৮ ওভার শেষে সাত উইকেটে ১২১।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই কুশল পেরেরাকে (১) বোল্ড করে ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসির হোসেন। ২ রানে এক উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। দশম ওভারে ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকে (২৫) মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান মাশরাফি বিন মর্তুজা। রুবেল হোসেনের তালুবন্দি হয়ে মাশরাফির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন কুশল মেন্ডিস (১৯)। নিরোশান ডিকভেলার (১৬) স্ট্যাম্প ভেঙে উইকেটের খাতায় নাম লেখান মোস্তাফিজুর রহমান। ৮৫ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে।
এর আগে তামিম-সাকিব-মুশফিকের ব্যাটিং নৈপুণ্যে নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে সাত উইকেটে ৩২০ রান তোলে স্বাগতিক শিবির। ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৩২৯। ৩২০ যৌথভাবে পঞ্চম সর্বোচ্চ।
নিজ দেশ লঙ্কানদের কোচ হয়ে প্রথমবার সাবেক শিষ্যদের মুখোমুখি হয়েছেন হাথুরুসিংহে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ে ফেরার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইনজুরি আক্রান্ত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ছাড়াই নামে সফরকারীরা। নেতৃত্ব ওঠে দিনেশ চান্দিমালের কাঁধে। টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি।
ব্যাক-টু-ব্যাক ৮৪ রানের ইনিংস উপহার দেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা তামিম। উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। আক্ষেপ শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সেঞ্চুরিটা হলো না। ত্রিশতম ওভারে স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়ার বল ব্যাট ছুঁয়ে নিরোশান ডিকভেলার গ্লাভসে আটকা পড়ে।
দলীয় ১৭০ রানে আউট হওয়ার আগে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়ে যান তামিম। এনামুল হক বিজয়ের (৩৫) সঙ্গে ৭১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ৯৯ রান যোগ করেন। সাকিব-মুশফিক তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৭। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে পরের উইকেটেও অর্ধশত রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম।
সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৬৭। মুশফিক করেন ৬২। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৪, মাশরাফি ৬ রান করে আউট হন। ৪৯তম ওভারে নেমে ‘গোল্ডেন ডাক’ নাসির হোসেন (০) এলবিডব্লুর শিকার হন। সুরাঙ্গা লাকমলের করা শেষ ওভারে আসে ২০ রান। সাব্বির রহমান ১২ বলে ২৪ রানের কার্যকরী ব্যাটিং প্রদর্শন করেন। ২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সাব্বিরের সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
তিনটি উইকেট দখল করেন থিসারা পেরেরা। নুয়ান প্রদীপ নেন দু’টি। একটি করে ধনাঞ্জয়া ও আসিলা গুনারত্নে।
ঢাকার মাটিতে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে হাতুরুর লঙ্কা কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে হতাশা দিয়ে। বাংলাদেশের কাছে বিধ্বস্ত জিম্বাবুইয়ানদের কাছে মিরপুরে ঐতিহাসিক শততম ওয়ানডেতে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে লঙ্কান শিবির। ২৯১ রানের টার্গেটে হার মানে ১২ রানে।
একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। পেস শক্তি বাড়াতে স্পিনার সাঞ্জামুল ইসলামের পরিবর্তে নেওয়া হয় উদীয়মান বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে। শ্রীলঙ্কা টিমে পরিবর্তন দু’টি। ম্যাথুস ছাড়াও নেই পেসার দুশমান্থা চামিরা। দু’জনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন যথাক্রমে নিরোশান ডিকভেলা ও নুয়ান প্রদীপ।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: উপুল থারাঙ্গা, কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্দিমাল (অধিনায়ক), নিরোশান ডিকভেলা (উইকেটরক্ষক), কুশল মেন্ডিস, আসিলা গুনারত্নে, থিসারা পেরেরা, আকিলা ধনাঞ্জয়া, সুরাঙ্গা লাকমল, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম