এরআগে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৬৪ রান তাড়া করে জিতেছিলো। তাই সন্দেহাতীতভাবেই এটি একটি ঐতিহাসিক জয়।
গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অজিরা তাড়া করেছিলো ২৪৪ রান। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২৩২ রান তাড়া করে জেতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ ওই দ. আফ্রিকার দেওয়া ২৩০ রান ধাওয়া করেই জিতেছিল ইংল্যান্ড। এরপর বাংলাদেশের ২১৫ রানের এই জয়টি।
কাজেই সিংহের রাজ্যে টাইগাররা যে হুঙ্কার ছাড়লো তাতে অবিস্মরণীয় একটি জয়ই ধরা দিল। যা স্বস্তি ফেরালো লাল-সবুজের শিবিরে। তীর্থের কাকের মতো দিনের পর দিন জয়ের আশায় থাকার পর অবশেষে তা ধরা দিলো দেশের বাইরে। আবারও জাত চেনালো
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তার দল। ফুরিয়ে যাননি মোটেও।
দেশের অবিস্মরণীয় এই জয়ের দিন নিজের ব্যাটিং ইনিংসটিকেও অবিস্মরণীয় করে রাখলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে। টি-টোয়েন্টি এতদিন তার ব্যক্তিগত সর্ব্বোচ্চ ৬৬ রান ছাড়িয়ে ৩৫ বলে খেললেন ৭২ রানের এক টরনেডো ইনিংস। তাতে হারের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে এল বাংলাদেশ।
২১৫ রানের পাহাড়সম চাপ মাথায় নিয়ে নেমেও দারুণ শুরু করে তামিম ইকবাল ও লিটন ঝড়ে তা অনেকটা হালকা হয়েছিলো বটে। কিন্তু সৌম্য, রিয়াদ ও সাব্বিরর রহমানের ফেরায় আবার তা ফিরে এলো। তবুও এতটুকু ভেঙে পড়েননি মুশফিক। বরং লড়েছেন, দৃঢ় ব্যাটে। তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন সব চাপ। তার হার না মানা সেই লড়াইটি গিয়ে থামলো ২০তম ওভারের ৪ নাম্বার বলে। থিসারা পেরেরার লো ফুলটস বলটি মিড উইকেটি দিয়ে ঠেলে দিয়েই গর্জন ছাড়তে শুরু করলেন, নাচতে শুরু করলেন নাগিন নাচ। যেন একাই দংশে নীল করে দিয়েছেন স্বাগতিক লঙ্কানদের।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এইচএল/জিপি