আর এর শুরুটা হয়েছিল দেরাদুনে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। আফগান লেগি রশিদ খানের স্পিন বিষে নীল হয়ে ৩ ও ৫ জুন টানা দুই ম্যাচ হেরে কাবুলিওয়ালাদের কাছে সিরিজ হেরে বসে বাংলাদেশ।
৭ জুনের ঘটনাতো আরো মর্মান্তিক। শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে খেলতে নামা টাইগাররা ওই রশিদ খান জাদুতেই শেষ পর্যন্ত কুপোকাত হলো। ১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১ রানের হারে হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরতে হয় সাকিব-তামিমদের।
তার ঠিক পরদিনই (৮ জুন) ডাবলিনে ঘটে গেল আরেক অঘটন। পেশি শক্তির বিচারে আদিকাল থেকে ক্রিকেট পুরুষকেন্দ্রীকই রয়ে গেছে। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স বিশ্বের তাবৎ পুরুষ ক্রিকেটারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। ওয়ানডেতে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৪৯০ রান! তাও মেয়েদের হাত ধরে! এতো গণেশ উল্টে যাওয়ার মতোই ঘটনা।
তবে এতে করে একটি বিষয় বেশ শক্তভাবেই প্রমাণিত হলো। আর তা হলো, পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ক্রিকেটের সমান পারঙ্গমতা অর্জন করেছে।
এর দু'দিন পর (১০ জুন) ক্রিকেট দুনিয়া আরও দু’টি অঘটন প্রত্যক্ষ করেছে। এর একটি ঘটেছে স্কটল্যান্ডে। সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র ওয়ানডেতে ৬ রানের জয় তুলে নিয়ে কুলিন ইংলিশদের দর্পচূর্ণ করেছে ‘চুনোপুটি’ স্কটিশরা।
আরেক ঘটনা একইদিন কুয়ালালামপুরের কিনরারা স্টেডিয়ামে। নারী এশিয়া কাপের ৭ম আসরের ফাইনালে এশিয়ায় ক্রিকেটের পরাশক্তি ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ এই ভারতকেই এশিয়া কাপের গেল ৬ আসরের একটি ম্যাচেও কেউ হারাতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম/জেডএস