তার উগ্র আচরণের কারণে একাধিকবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকেও শাস্তি পেয়েছেন। তবু কিছুতেই যেনো শান্ত করা যাচ্ছে না তাকে।
বৃহস্পতিবার (আগস্ট ৯) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে কোচ স্টিভ রোডসসহ বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে এক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজের ভালো-খারাপ দিক, সাকিবের বর্তমান অবস্থা, আসন্ন এশিয়া কাপ, ক্রিকেটারদের অসদাচরণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই সভা শেষেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সভাপতি নাজমুল হাসান। ক্রিকেটারদের অসদাচরণ নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখানে দুজন ক্রিকেটারের নামই আসে ঘুরেফিরে। একজন এখনকার ক্রিকেটার, আরেকজন একটু পুরনো। পুরনো যে, সে তো এখন দলে নাই। আরেকজন যে দলে আছে, সেও না থাকার মতো অবস্থায় ঝুলছে। এটা আপনাদের বুঝতে হবে। ’
‘কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারে ঢোকা কঠিন। আমরা তো বাসায় গিয়ে মনিটর করে আসতে পারব না। ওদেরকেই বুঝতে হবে। সুযোগ দেওয়া হয়েছে প্রচুর, কিন্তু ওরা যদি ভালো হওয়ার, শোধরানোর সুযোগ না নেয়, তাহলে ওটা ওদের সমস্যা। বোর্ডের সমস্যা না। আমরা মনে করেছিলাম, শেষ যে বিচারটি হয়েছিল, তারপর সব ঠিক হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাতেও যদি ঠিক না হয়, তাহলে তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হবে, উপায় নেই। তবে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা আমি মনে করি ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত খারাপ। যেহেতু ক্রিকেটটা বাংলাদশে ভালো জায়গায় আছে এটা নিয়ে বিতর্ক হোক, তা আমরা চাই না। ’
গেল বছরের ডিসেম্বরে রাজশাহীতে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) চলাকালে মাঠের বাইরে এক দর্শককে লাঞ্ছিত করেন তিনি। ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞাসহ সাব্বিরকে নগদ ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে ক্রিকেট বোর্ড।
এছাড়া সতীর্থ মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেই শাস্তি পান সাব্বির। এর আগে ২০১৬ সালের বিপিএলে প্রথম বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সাব্বির রহমান সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন। চট্টগ্রামের টিম হোটেলে নিজ কক্ষে নারী অতিথি নিয়ে যাওয়ায় চুক্তির ৩০ ভাগ (১২ লাখ) টাকা জরিমানা গুণেছিলেন তখন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এমকেএম